হেরাফেরি-৩, অক্ষয় কুমার অর্ধেক টাকায় কাজ করতে রাজী

হেরাফেরি-৩, অক্ষয় কুমার অর্ধেক টাকায় কাজ করতে রাজী। তিনি এখন একনম্বর। বলিউডের বাজারে তার এখন একচেটিয়া বাজার। মহারাষ্ট্রে বিজেপি সমর্থিত সরকার আসার পর তার বাজারদর আকাশছোঁয়া। বিগত দুইমাস হিন্দি ছবির বাজার যে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে তা নিয়েও দ্বিমত নেই। ইদানীং একাধিক ‘বড়’ বাজেটের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। কেউ ছবির সংখ্যা কমিয়েছেন, তো কেউ আবার প্রক্ষাগৃহের পরিবর্তে ছবি মুক্তির জন্য ‘ঝুঁকিহীন’ ওটিটকেই বেছে নিয়েছেন।

 

কিন্তু বদল ঘটেনি অক্ষয় কুমারের। বাৎসরিক ছবির সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তাঁর পারিশ্রমিক। কিন্তু এ বারে মনে হচ্ছে একচুল হলেও পাহাড় সরছে।মায়ানগরীর ছবির ব্যবসার দিকে তাকিয়ে অবশেষে ছবির জন্য নিজের পারিশ্রমিক কমাতে রাজি হয়েছেন। সম্প্রতি একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমের হয়ে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। সেখানেই এই প্রসঙ্গে অক্ষয় তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেছেন। অভিনেতা বলেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি সিনেমা দেখার ধরন বদলেছে। দর্শক এখন নতুন কিছু চাইছেন। প্রক্ষাগৃহে দর্শক না আসার কারণ কিন্তু আমরা!

আরও পড়ুন – কয়লা পাচার ও বেআইনিভাবে মজুতের অভিযোগে বীরভূমে গ্রেফতার ৬

পুরনো ধ্যানধারণা ফেলে দিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।’’ সেই সঙ্গে অক্ষয় আরও বলেন, ‘‘প্রযোজক থেকে শুরু করে পরিবেশকদের বুঝতে হবে, এখন দর্শকের হাতে খরচ করার মতো অর্থের পরিমান খুবই কম। প্রয়োজনে আমি আমার পারিশ্রমিক ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে রাজি আছি।শুধু আমার পারিশ্রমিক নয়, ছবি তৈরির খরচকেও কমাতে হবে শুধু মাত্র দর্শকের স্বার্থে।’’সিনেমাপ্রেমীরা জানেন, ছবিপিছু অক্ষয় আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।

 

দেশের তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়করদাতাদের তালিকার উপরের দিকে রয়েছে তাঁর নাম। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বক্স অফিসে অক্ষয়ের পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু ‘সূর্যবংশী’ ছাড়া বাকি ছবিগুলি বক্স অফিসে তেমন একটা ব্যবসা করতে পারেনি। ফলে অক্ষয়কে নিয়ে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষ শুরু হয়। কেউ কেউ বলেন, ছবির সংখ্যার তুলনায় আগামী দিনে অভিনয়ের মানের দিকে অভিনেতার মন দেওয়া উচিত।