নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘বাংলাদেশি’ শিক্ষক! শিক্ষককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। উৎপল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। আদালতের নির্দেশ, ওই ব্যক্তির বেতন বন্ধ করে দিতে হবে, স্কুলেও প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। প্রাথমিক নিয়োগে ভূরি ভূরি বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে আগেই। তাই বলে বাংলার স্কুলে ভিনদেশের নাগরিকের চাকরি! এমন অভিযোগেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানির পর ওই শিক্ষককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ৪ জুলাই ওই শিক্ষককে আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপারকে।
মামলাকারীর অভিযোগ, ভুয়ো নথি জমা দিয়ে এ রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিক উৎপল। তাঁর দাবি, ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন ওই ব্যক্তি। বিমল চন্দ্র সরকারের বক্তব্য, তাঁর জমিতেই পরিবার নিয়ে বেআইনিভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন উৎপল। এমনকী উৎপলের বাবাকে ফরেনার্স অ্যাক্টে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি মামলাকারীর।
বিমল চন্দ্র সরকার আদালতে জানিয়েছেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে বেশ কিছু বিষয় জানতে পেরেছেন তিনি। তাঁর দাবি, উৎপল মণ্ডল চাকরির জন্য দফতরে যে নথি জমা দিয়েছিলেন, তা বৈধ নয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি মামলাকারীর। সে কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। উৎপলের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলেই দাবি মামলাকারীর। ৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন – পুলিশকর্মীদের ফাঁকির প্রবণতা রুখতে নির্দেশিকা জারি
অভিযোগ, উৎপল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। আদালতের নির্দেশ, ওই ব্যক্তির বেতন বন্ধ করে দিতে হবে, স্কুলেও প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি। বিমল চন্দ্র সরকার নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেছেন, তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। আরটিআই-তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মামলা করেছেন তিনি।