ভোটের রেজাল্ট নিয়ে ভাবিত নন অধীর, সাগরদিঘিতে একটি গ্রাম দখলে রাখল বাম-কংগ্রেস , এবারের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য রাজনীতিতে আলাদা নজর কেড়েছিল সাগরদিঘি। কিছুদিন আগে এই সাগরদিঘির বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন বাইরন বিশ্বাস। ভোটে জেতার কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এমন অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটে সাগরদিঘির রায় কোন দিকে যায়, সেই দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। সাগরদিঘি বিধানসভা এলাকায় ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সেগুলির মধ্যে মাত্র একটিতেই জিতেছে বাম-কংগ্রেস জোট। বাকিগুলির মধ্যে চারটি গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। আর ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হয়েছে।
মোড়গ্রাম, সাগরদিঘি সহ আরও দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এককভাবে জিতেছে তৃণমূল। এদিকে আবার বানেশ্বর, বোখরা-১, বোখরা-২, বালিয়া, কাবিলপুর ও গোবর্ধন গ্রাম পঞ্চায়েতে আপাতত ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে। হিসেব মতো দেখতে গেলে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ফল সেভাবে আশানুরূপ হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধীরবাবুর ব্যাখ্যা, ‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে শাসক দলের সন্ত্রাস চলেছে। পুলিশের নির্যাতন চলেছে। আর এই সমস্যা আজকের নয়। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে অনেকদিন ধরে। সেই জায়গা থেকে সাগরদিঘি জয় হয়েছিল আমাদের।’ যদিও অধীরবাবুর বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি ঠিকঠাকভাবে নির্বাচন হত, তাহলে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অধীরের অভিযোগ, গোটা মুর্শিদাবাদে যেখানেই কংগ্রেস জিতছে, সেখানেই পুনর্গণনা করে, কারচুপি করে কংগ্রেসকে হারানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল নিয়ে বিশেষে ভাবিত নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলছেন, ‘নির্বাচন ইতিমধ্যে প্রহসনে পরিণত হয়েছে। ফলাফল নিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই।’
আরও পড়ুন- বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে খাতা খুলল আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল
১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কেবল পাটকেলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকছে বাম-কংগ্রেসের হাতে। সেখানে ৮টি আসন জিতেছে কংগ্রেস, ৪টি জিতেছে সিপিএম। আর তৃণমূল জিতেছে ৭টি আসন।