প্রশ্নবাণে বেসামাল নুসরাত, সাংবাদিক বৈঠকে মেজাজ হারালেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, কি বললেন তিনি ? ‘নুসরত জাহান’ এখন বাংলার রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। যে সংস্থার বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, সেই ‘সেভেন সেন্সেস’ কোম্পানির এক জন ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতির টাকাতেই পাম অ্যাভিনিউয়ের কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। তবে দৃশ্যত, এদিনের সাংবাদিক বৈঠকের শুরু থেকেই নুসরতের গান পয়েন্টে ছিলেন সাংবাদিকরাই। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও সেই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত, সম্প্রচারিত করার জন্য সাংবাদিকদেরই ঘায়ে দোষ চাপালেন।
সাংবাদিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত বলা ভাল, কেবল এই একটি বিষয়েরই ব্যাখ্যা দিলেন নুসরত। তাঁর দাবি, তিনি কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ তিনি ২০১৭-র ৬ মে সুদ-সহ ফেরত দিয়েছেন। ব্যস, কেবল এই একটাই যুক্তি, যেটিকে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ‘সাফাই’ বলতে নারাজ।
আর বাকি সবটা যা যা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সবই সংবাদমাধ্যমেরই ‘অতি সক্রিয়তা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ নুসরতকে দৃশ্যত বিরক্ত দেখা গিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনই তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে। কিছুটা জোর গলায় কথা বলেছেন।দেখা গিয়েছে, সাংবাদিক বৈঠক করতে করতেই চেয়ার ছেড়ে উঠে মাইক হাতে চিৎকার করে কথা বলেছেন তিনি। এমনকি তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে এও বলেছেন, “আমি কি আপনার ব্যাঙ্কের নথি দেখতে চেয়েছি? দেখতে চাইনি তো, তাহলে আপনিও সেটা করতে পারেন না। আর সেটা করতে হলে আইনি পদ্ধতিতে করুন।”
আরও পড়ুন – ‘ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি’ নুসরতের ‘সাফাই’-এর পর চেক নম্বর প্রকাশ…
এমনকি তিনি এও বলেন, “আমি আমার তরফ থেকে ক্ল্যারিফিকেশন দিয়ে দিয়েছি। এরপর যদি আপনাদের আরও কোনও গল্প বানাতে হয়, গল্প ফাঁদতে হয়, সেটা আপনাদের ব্যাপার।”