সিকিমের দাদাভাই গ্যাংয়ের তিন পান্ডা গ্রেপ্তার। গ্রেফতার করলো গ্যাংটক সদর থানার পুলিশ। গাড়ি চালকের পরিচয় দিয়ে বাগডোগড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে বাস করছিলেন গ্যাংয়ের তিন সার্কেদ। শিলিগুড়ি পুলিশের সহায়তায় সিকিমের দাদাভাই গ্যাংয়ের তিন পান্ডা গ্রেপ্তার করলো গ্যাংটক সদর থানার পুলিশ। গাড়ি চালকের পরিচয় দিয়ে বাগডোগড়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে বাস করছিলেন গ্যাংয়ের তিন সার্কেদ।
ফাঁকা বাড়িতে লুঠ, ডাকাতি, নেশার রাজকারবার চালিয়ে চলছে সিকিমের ত্রিক্ষ্ত্রি গ্যাং। তিন বছর আগে কোটি টাকার ডাকাতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ভূষণ সিংকে গ্রেপ্তার করে সিকিম পুলিশ। সিকিমের জেলে বসেই ভাই বিধান ত্রিক্ষত্রি,বিকাশ ত্রিক্ষত্রি ও গ্যাংয়ের অপর পান্ডা সানি রাইকে দিয়ে ডাকাতি ও নেশার কারবার সক্রিয়ভাবে বহাল রেখে চলছে সে।
গত ২৩শে নম্ভেম্বর গ্যাংটকের একটি নামনাম সারি এলাকার হাউজিং কলোনির একটি আবাসনের এক ফ্ল্যাট ফাঁকা থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হামলা চালায় ত্রিক্ষত্রি গ্যাং। জানা গিয়েছে কাপড় ব্যবসায়ী ওই অগরওয়াল পরিবারের ছেলে ও বাবা কর্মসূত্রে বাইরে গিয়েছিলেন। এরপরই অগওয়াল বাবুর স্ত্রী প্রতিবেশী স্মরণ সভায় চলে যান। এরপরই দুপুর ১২টা নাগাদ একেবারে পেশাদারি কায়দায় দরজার বাইরের তালা, কলাপসিপল ও ইন্টার লক ভেঙে তছনছ চালিয়ে ১০লক্ষ ২২হাজার টাকা ও সোনার দুটি বালা লুঠ করে পগার পার হয়ে যায়। বাড়ির সদস্যরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গ্যাংটক সদর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলেই পৌছেই বুঝতে পারেন পারদর্শি গ্যাংয়ের কাজ। এরপরই তদন্তে বেড়িয়ে আসে দাদাভাই ত্রিক্ষত্রি গ্যাংয়ের নাম। তবে ততক্ষনে পুলিশের চোখে ধুলো ছিটিয়ে পলাতক গ্যাং। মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তিনজনের হদিশ পায় পুলিশ। টাওয়ার লোকেশন ধরে ২৫শে নম্ভেম্বর বাগডোগরায় পৌঁছায় গ্যাংটক সদর থানার পুলিশের একটি টিম।
আর ও পড়ুন দাম্পত্য সম্পর্ক সুখময় করতে এগুলি ট্রাই করুন
সেমতো বাগডোগড়া থানার পুলিশের সহায়তায় মসজিদ নগর থেকে ভাড়ার বাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগী জানান তাদের কাছ থেকে দুষ্কৃতী কার্যকলাপে ব্যাবহৃত হাতিয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শিলিগুড়িতেই ভাড়া বাড়িতে গাড়ি চালকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে অন্তরালে তিন পান্ডা ডেরা করে বসে।ধৃতদের কাছ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিকিম পুলিশ।
দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে সিকিম নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধৃতদের। সিকিম পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকদের তরফে জানা গিয়েছে একের পর এক নেশা ও লুঠের ঘটনাকে আনজাম দিয়ে চলছে এই গ্যাং। নেশা ও নারী সঙ্গের নেশায় ফাঁকা বাড়ি মিললেই রেইকি করে সুযোগ বুঝে লুঠ চালায় তারা।