শুরু হয়ে গেছে বাংলায় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব

শুরু হয়ে গেছে বাংলায় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
শুরু

শুরু হয়ে গেছে বাংলায় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব। গতিপথ পরিবর্তন করে তীব্র গতিতে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার দিকে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে কাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে।

 

এদিকে ‘জাওয়াদ’ বাংলায় প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার থেকেই যার প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম, সুন্দরবনে আকাশ কালো করে এসেছে সকাল থেকেই। শুরু হয়ে গিয়েছে ঝিরঝির করে বৃষ্টিও। একদিকে ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি, তার সঙ্গে আবার অমাবস্যার ভরা কোটাল। আতঙ্কে প্রমাদ গুনছে গোটা সুন্দরবনবাসী।

 

অন্যদিকে ঝাড়গ্রামেও রাস্তায় লোকজনের দেখা মিলছে না। বৃষ্টি শুরু হয়েছে নদীয়াতেও। সকাল থেকে বাঁকুড়ার আকাশেও মেঘের ঘনঘটা। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে বাঁকুড়ার সর্বত্র। ওদিকে দুর্যোগের আগেই মাঠ থেকে পরিশ্রমের ফসল তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। এমনকি অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে রাতেও কাটা হচ্ছে ফসল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার উপকূলের দুই জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলী, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে।

 

আর ও  পড়ুন  তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে জাওয়াদ, এই সময়ে কী করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, জানুন  

 

রবিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলী, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে আরও বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। সঙ্গে ঝড় বইবে বলেও পূর্বাভাস রয়েছে। একইসঙ্গে রবিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গের মালদা জেলাতেও ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে সুন্দরবনে। মেঘলা আকাশ। সেই সঙ্গে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে।

 

ইতিমধ্যে এই এলাকায় কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। পূর্ণিমার ভরা কোটাল এর জেরে ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের নদী গুলিতে জল বাড়তে শুরু করেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই নদী থেকে উঠে আসতে বলা হয়েছে। বিগত দুটি ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের জেরে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবনের নদীবক্ষে চলা লঞ্চ ও ভুটভুটি গুলিও। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এবার আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পেয়ে লঞ্চ ভুটভুটি গুলিকে নিরাপদ জায়গায়  ইতিমধ্যেই নোঙর করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, শুরু হয়ে গেছে বাংলায় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব। গতিপথ পরিবর্তন করে তীব্র গতিতে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার দিকে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে কাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এদিকে ‘জাওয়াদ’ বাংলায় প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

শনিবার থেকেই যার প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম, সুন্দরবনে আকাশ কালো করে এসেছে সকাল থেকেই। শুরু হয়ে গিয়েছে ঝিরঝির করে বৃষ্টিও। একদিকে ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি, তার সঙ্গে আবার অমাবস্যার ভরা কোটাল। আতঙ্কে প্রমাদ গুনছে গোটা সুন্দরবনবাসী।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top