দুর্গাপুরে 41নং ওয়ার্ডের শ্রমিক নগর এলাকায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল, আটক ৩। মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন শ্রমিক নগর এলাকায় এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যাক্তির নাম রামপ্রসাদ সরকার (৫০)। তিনি দুর্গাপুর স্টেশন বাস স্ট্যান্ডে ফুচকা বিক্রেতা ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত ঘটে সোমবার রাতে।
এদিন রাতে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন শ্রমিক নগর এলাকায় তাঁর পুরোনো বাড়ির প্রতিবেশীদের সাথে দেখা করতে এসেছিল রামপ্রসাদ সরকার। এক বৃদ্ধ প্রতিবেশীকে বাইরে খাটিয়া তে শুয়ে থাকতে দেখে তারও খোঁজ খবর নিতে যায় রামপ্রসাদ বাবু। এখান থেকেই শুরু হয় ভুল বোঝাবুঝি। দু এক কথা হতে হতে বাঁধে ঐ বৃদ্ধর পরিবারের সাথে বচসা। তবে তখনকার মতো পরিস্তিতি শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু এরপর ঘরে ফিরে ঐ বৃদ্ধর ছেলে ও তার দলবল দুর্গাপুর স্টেশন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বাঁকুড়া মোড়ের কাছ থেকে রামপ্রসাদকে ধাওয়া করে তুলে আনে শ্রমিক নগর সংলগ্ন একটি মাঠের সামনে। শুরু হয় রামপ্রসাদের ওপর মারধর।
আর ও পড়ুন তোলা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতী হামলা
অভিযোগ, রামপ্রসাদ সরকারকে ঐ বৃদ্ধর ছেলে ও তাঁর দলবল পিটিয়ে খুন করেছে।এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপ্রসাদ সরকারকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এদিন রাতেই। মঙ্গলবার ভোরেই মৃত্যু হয় রামপ্রসাদের। রামপ্রসাসের পুরোনো বাড়ির পড়শীদের অভিযোগ, তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আর এর পেছনে রয়েছে বিশ্বজিৎ জানা, সুরজিত সরকার, মনা দাস, আর শুভজিৎ সরকার।কোকওভেন থানার পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা। যদিও অভিযুক্তদের পরিবার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবং কোকওভেন থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।