নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার বাসিন্দা চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই। দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সকালেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার বাসিন্দা রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার অর্থাৎ আজ সকালেই তাঁকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Place) ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন চন্দন (Chandal Mondal)। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির যে চক্র, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চন্দন মণ্ডলের। আদালতেও চন্দনের নাম জানিয়েছিলেন উপেন বিশ্বাস (Upen Biswas)। চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রসন্ন রায়ের মতো যে সব মিডলম্যান ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চন্দন অন্যতম বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আধিকারিকদের অনুমান, চন্দনকে জেরা করলেই সামনে আসবে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মতো আর কারা টাকা নিয়েছিলেন। তা জানা গেলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত আরও কয়েক ধাপ এগোবে বলেও মনে করছে সিবিআই।
গোয়েন্দা সংস্থার কাছে চন্দন মণ্ডল দাবি করেছিলেন, উপেন বিশ্বাস তাঁকে ফাঁসাতে চাইছেন। তবে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, চন্দনকে হেফাজতে নিলেই টাকার লেনদেন স্পষ্ট হতে পারে।
চন্দনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দেখা গিয়েছে চন্দন বস্তা বস্তা টাকা কলকাতায় পাঠান। এরকম পাড়ায় পাড়ায় সৎ রঞ্জনেরা আছে।’ মূল অভিযুক্তদের দ্রুত সামনে আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন – পুলিশের ‘রুটমার্চ’ চলছে বীরভূমের গ্রামে গ্রামে, এই প্রক্রিয়াকে রুটমার্চ বলতে নারাজ পুলিশ…
তদন্তকারী সংস্থার যাঁদের বয়ান নিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মুখেও চন্দনের নাম শোনা গিয়েছে। তবে প্রথম এই নাম সামনে আনেন উপেন বিশ্বাস। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। উপেন বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, চাকরির বিক্রির অভিযোগের কথা তাঁর কানে এসেছে। কী সেই অভিযোগ? রঞ্জন ওরফে চন্দন শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেন। ১০ লক্ষ বা ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরির আশ্বাস দেন তিনি। চন্দন নাকি বলতেন, উত্তরপত্রে কিছু লেখা যাবে না। শুধু নাম আর রোল নম্বর দিতে হবে। উত্তর লিখলে চাকরি পাওয়া যাবে না। পরে আদালতেও উপেন বিশ্বাস এ কথা জানান।