বিধানসভায় এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বাইরন। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তাঁর জয় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তাঁর জয়ের ফলে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল। তিনি সাগরদিঘির সদ্য জয়ী বিধায়ক কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। শনিবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন কংগ্রেসের এই বিধায়ক। তাঁর জয় ও দলের পরাজয় নিয়ে অনেক অঙ্ক কষছে শাসকদল। কিন্তু নিজের জয় প্রসঙ্গে খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন বাইরন। তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলাম। বামফ্রন্ট আমাকে সমর্থন করেছিল। তবে তৃণমূল সমর্থন করেছে। জনগণও সমর্থন করেছে।” তিনি আরও বলেন, “বলা হচ্ছে আমরা নাকি বিজেপির সমর্থন পেয়েছি, বিজেপির থেকে বেশি আমরা তৃণমূলের সমর্থন পেয়েছি। তৃণমূল খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে আমাদের।”
শনিবার কংগ্রেসের দুই প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র ও নেপাল মাহাতোর সঙ্গে বিধানসভায় আসেন তিনি। সেখানে এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বাইরন। নিজের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্পিকার তাঁকে জানিয়েছেন রাজভবন থেকে অনুমতি না আসায় এখনও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা যায়নি। তবে রাজভবন থেকে ইতিবাচক বার্তা এলেই শপথগ্রহণের জন্য বাইরনকে তলব করবে বিধানসভার সচিবালয়। বিধানসভার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে রাজভবন যান বাইরন। সেখানে বাইরনের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে উদ্যোগী হতে বলেন অধীর। বহরমপুরের সাংসদ পরে দাবি করেন, বাইরনের শপথগ্রহণ নিয়ে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন – মোবাইলের সিমের আকার কেন রকম হয় ? ভেবে দেখেছেন কখনও!
কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বিধানসভায় কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি একজন বিধায়ক হতেই পারি। আমর প্রথম কাজ হবে আমার এলাকার মানুষের দাবি নিয়ে সরব হওয়া। আর ১ থেকে ১০০-তে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে আমার দল।” তবে বাইরনের এমন মন্তব্যকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন লালগোলার তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলি। তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের প্রার্থী বাইরন বিজেপির সমর্থন নিয়ে জিতেছেন। জেতার পর তৃণমূলের সমর্থনে জিতেছেন বলে দাবি করে এক দিকে অনৈতিক এবং নীতিহীন জোটকে যেমন তিনি নিজের গুরুত্ব বোঝাতে চাইছেন, তেমনই জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন। সাগরদিঘিতে তৃণমূল নিজেদের সাংগঠনিক জোরে নিজের ভোট ধরে রাখতে সফল হয়েছে। তৃণমূলের ভোট কারও কাছে চলে যায়নি। তা অটুট রয়েছে।”