অবলীলায় প্রাণ গেল শিশুর ! হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ গেল ৮ বছরের শিশুর ,মহেশতলা পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার পাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানেই ওই শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।দশ পনেরো দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল ছোট্ট শিশুটি। প্রতিবেশীদের দাবি, তাকে ডাক্তার না দেখিয়ে ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যরা ঝাড়ফুঁক করছিলেন। যার জেরেই অবলীলায় প্রাণ গেল শিশুটির। এ দিন শিশুটির মৃত্যু পর পুলিশের সামনেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও, শিশুটির পরিবারের দাবি, তাঁরা ঝাড়ফুঁক করেননি। শুধু জ্বরের ওষুধ খাইয়েছিলেন।
মৃতের ঠাকুমা বলেন, “ওর তিনদিন আগে জ্বর হয়। ওকে আমরা জ্বরের ওষুধ খাইয়ে দিই। ওষুধ কাওয়ার পর জ্বরও কমে গেল। এরপর আর কোনও অসুবিধা ছিল না। কেক খেতে চেয়েছিল। খাওয়াইনি। আচমকা বলল পেটের যন্ত্রণা করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার ছেলেকে ফোন করি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার গাড়ি আসতে দেরি হয়। হাসপাতালের ডাক্তার বলল হার্টফেল করেছে। কোনও কুসংঙ্কার কিছুই ছিল না। আমরা প্রথমে ডাক্তার দেখাইনি। শুধু ভগবানকে ডেকে ছিলাম। কিন্তু এইভাবে চলে যাবে কী করে বুঝব।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জ্বর থাকার পরেও ডাক্তার না দেখিয়ে অন্ধবিশ্বাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানার পুলিশ পৌঁছে ওই শিশুকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পুলিশের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন – বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য নিউটাউনে!
মহেশতলা পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার পাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানেই ওই শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর আটের ওই শিশুর প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে জ্বর ছিল। পরিবারের লোকজন ডাক্তার দেখায়নি। আজ যখন ওই শিশুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
