অয়নের আরও ২০টি ফ্ল্যাটের হদিস, রয়েছে দিল্লিতেও! তদন্তে নামছে ইডি, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের আরও ২০টি ফ্ল্যাটের হদিস পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কোনওটি তাঁর নামে, কোনওটি বেনামে। এই রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লিতেও অয়নের ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে। এ ছাড়াও অয়নের পাঁচটি দামি গাড়ির হদিস পেয়েছে ইডি বলে সূত্রের খবর। আদালতের নির্দেশ, আগামী ৮ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই থাকবেন অয়ন।
তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তলকে (দু’জনেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেলবন্দি) গ্রেফতারের পরে তাঁদের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার তথা ঘুরপথে পুরসভায় নিয়োগের পাণ্ডা অয়নের নাম উঠে আসে। অয়নের বাড়ি এবং অফিসে টানা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে চাকরির পরীক্ষার একাধিক উত্তরপত্র ছাড়াও উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড এবং অন্যান্য নথিও। ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের কাছ থেকে যে সমস্ত ওএমআর শিটের প্রতিলিপি মিলেছে, সেগুলি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার। অয়নের বাড়িতে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও পাওয়া গিয়েছে। অয়নের স্ত্রী কাকলির পাশাপাশি অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নামেও অ্যাকাউন্টের নথি মিলেছে। তদন্তকারীদের দাবি, টাকা তোলার পরিমাণে এবং দুর্নীতি চালিয়ে যাওয়ার কৌশলগত বিচারে শান্তনু ও কুন্তলের থেকে অয়ন বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। তাঁর প্রভাবশালী-যোগ এবং দুর্নীতির ব্যাপ্তি ওই দু’জনের থেকে অনেকটাই বেশি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল অয়নের। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। অয়নের বাড়িতে তল্লাশির সময়ই পুরসভা নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র মেলে। গত শনিবার পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহে অভিযোগ (ইসিআইআর) করতে চলেছে ইডি। এ বার পুরসভার নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারা মনে করছে, অয়ন যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছেন, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন – তৃণমূল বিধায়ক জীবনের ফোনে অডিয়ো ক্লিপের ছড়াছড়ি! হেফাজতে চেয়ে কী যুক্তি দিল…
ইডির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ একাধিক পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন অয়ন। তাঁকে জেরা করে ইডি জেনেছে, বেআইনি নিয়োগের বিনিময়ে প্রার্থীদের থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল।