‘নির্দল হয়ে লড়ার কথা ভাবছেন?’ মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক……

‘নির্দল হয়ে লড়ার কথা ভাবছেন?’ মনে করিয়ে দিলেন অভিষেক……প্রার্থী পছন্দ না হলে নির্দল হয়ে লড়ার স্বপ্ন ভুলে যেতে হবে। আর যদি জিতেও যান, তাহলে দলে ফেরার স্বপ্নও বলি দিতে হবে। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে গঙ্গারামপুরে দাঁড়িয়ে কর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলা, অনুশাসনের পাঠ পড়ালেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা সেরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন অভিষেক। সেখানেই তিনি বলেন, “প্রার্থী পছন্দ না হলে নির্বাচনী প্রচারে যাব না। বুথে বসব না। জিতে গেলে আবার দল করব অনেকেই ভাবেন। দল যাকে প্রার্থী করব, কাঁধে করে তাঁকে আপনাকেই বৈতরণী পার করাতে হবে, এটা দলীয় শৃঙ্খলা।” সঙ্গে অভিষেক আবার এটাও স্মরণ করিয়ে দেন, যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়বেন বলে ভাবছেন, তাঁদের কিন্তু দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। সতর্ক করলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “অনেকেই ভাবেন প্রার্থী না হওয়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জিতব।”

 

 

 

প্রত্যেক নির্বাচন আদতে জনগণের কাছে পরীক্ষা। অভিষেক সেই উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন. “আপনাকে প্রতি বছর পরীক্ষা দিতে হবে৷ যদি কাজ করেই থাকি, তাহলে পরীক্ষা দেওয়ায় ভয় কী আছে? হয়তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারছি না। কিন্তু মানুষের কথা শুনতে অসুবিধা কোথায়?”

 

 

 

 

সাম্প্রতিক কয়েকটি ইস্যুতে যেভাবে বিদ্ধ হতে হয়েছে শাসক তৃণমূলকে, সেখানে দাঁড়িয়ে নতুন করে সংগঠনের ওপর জোর দিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মানুষের মন জেতার প্রয়াস চালাচ্ছেন তিনি, তাঁদের ‘প্রায়োরিটি’ কী, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের অনুশাসনের ওপরেও নজর দিচ্ছেন তিনি।

 

 

 

 

আপনাদের একটু দলীয় অনুশাসন মনে করিয়ে দিই।” সেক্ষেত্রে গত পুরসভার প্রসঙ্গও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গত পুরসভা ভোটে অনেকে নির্দল হয়ে লড়বেন বলে ভেবেছেন। অনেকে জিতেছেন। সব জেলায় দেখে নিন, গত ১৪ মাসে যারা নির্দল হয়ে জিতেছিল, তারা অনেক দাদার পা ধরেছিল, কিন্তু তারা দলে ফিরতে পারেনি। এটাই দলীয় শৃঙ্খলা।”

 

 

আরও পড়ুন – কালীঘাটে কেন এসেছিল বাস? শুভেন্দুর প্রশ্নে আদালতে রিপোর্ট পেশ কলকাতা পুলিশের

 

 

 

দলীয় শৃঙ্খলা আর অনুশাসনের পাঠ পড়ালেন নেতা। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দলীয় সংগঠনের ওপর জোর দিতে চাইছেন নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে অভিষেকের কথায়, জেতা হারা সমস্যা নয়, আসল কথা দলীয় অনুশাসন। তিনি বলেন, “আমি দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত হারতে রাজি আছি। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলার উপরে কেউ নয়। আমি চার জন প্রধানকে পদত্যাগ করিয়েছি। আমি গ্রামে গিয়েছি। দেখেছি কাজ করেনি৷ তাহলে সে প্রধান হয়ে আছেন কেন? সে যখন কোনও কিছুই দেখবে না তাহলে প্রধান হয়ে থাকবে কেন? ওসব আগে হত, এখন আর হবে না।”