ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে

ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। এ বার হাতাহাতি বীরভূমেও, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদের পর এ বার বীরভূম। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভামঞ্চ ছাড়তেই শুরু হল ‘ভোট’ দেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি। প্রার্থী পছন্দ করতে গিয়ে মারামারি, ধস্তাধস্তি বীরভূমের মুরারইয়ের। শেষে লুটই হয়ে গেল ব্যালট পেপার। মঙ্গলবার বীরভূমে সফরে গিয়েছেন অভিষেক। মুরারইয়ের সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। তা-ও আপনাদের কাছে কেন এলাম? আমি চাই মানুষ নিজেদের প্রার্থী নিজে ঠিক করুন। আগে আমরা বলতাম, নিজের ভোট নিজে দিন। এখন বলছি, নিজের প্রার্থী নিজে বেছে নিন। আর কোনও রাজনৈতিক দল এই সুযোগ দেবে না।’’ তিনি মঞ্চ ছাড়ার পর সেই ‘সুযোগ’ নিলেন কর্মী এবং সমর্থকেরা। কিন্তু তা নিয়ে এমন গোলমাল শুরু হল যে, ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে।

 

 

 

 

কাদের প্রার্থিপদে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা নিয়ে স্বচ্ছতা আনার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট করাতে উদ্যোগী হয়েছেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু হয়েছে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। সেই ভোট ঘিরে আগেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়েছে কোচবিহারের সিতাইয়ের গোসানিমারিতে। দেখা গিয়েছে, অভিষেক সভাস্থল ছাড়তেই ব্যালট বক্স লুট হয়েছে। মারামারি, ভাঙচুর— কিছুই বাদ যায়নি। সেই ছবিই দেখা গেল বীরভূমেও।

 

 

 

 

এ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি দলে গণতন্ত্র আছে বলে এমন ঘটনা ঘটছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‘দলে প্রাণ আছে বলে এই ঘটনা ঘটছে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ এটা।’’

 

 

 

অভিষেক সভামঞ্চ ছাড়ার পর মুরারইয়ের চাতরায় শুরু হয় প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় গন্ডগোল। ব্যালট পেপার কাড়াকাড়ি দিয়ে শুরু হয় গোলমাল। শেষে দেখা যায়, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়চ্ছেন কয়েক জন। পিছনে দৌড়চ্ছেন অন্যেরা। দীর্ঘ ক্ষণ চলে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে এই হাতাহাতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে পুলিশ।

 

 

 

আরও পড়ুন –   অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা গ্রেফতার হলে অমিত-পুত্র কেন গ্রেফতার নয়? প্রশ্ন তুললেন অভিষেক

 

 

 

এর আগে একই ছবি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। সোমবার বড়ঞা বিধানসভার কুলির ইন্দিরা মাঠে অভিষেকের সভার পর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, গালিগালাজ শুরু হয়। তার পর ব্যালট বাক্স নিয়ে চলে যান কয়েক জন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, ‘‘বাম, কংগ্রেস, বিজেপি কর্মীদের নাম এসেছে লিস্টে। কিন্তু পুরনো তৃণমূল কর্মীদের নাম নেই।’’