আবার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। শুক্রবার দেওয়া নোটিসে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিল, শনিবার বিকেল ৪টের সময় আবার যাবে তদন্তকারী দল। সেই মতো পৌঁছয় তদন্তকারী দলটি। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পর চলে যান তাঁরা। কম্বলকাণ্ডে জিতেনের স্ত্রী তথা আসানসোল পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। সেউ উদ্দেশ্যে শুক্রবার জিতেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু বাড়ি খোলা না পেয়ে নোটিস দিয়ে আসেন তাঁরা। সেই অনুযায়ী, শনিবার আবার জিতেনের বাড়িতে যান পুলিশ আধিকারিকেরা। যদিও শনিবারও কাউকে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তালাবন্ধ ছিল জিতেনের ফ্ল্যাট।
গত বৃহস্পতিবার জিতেন এবং চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। গত ১৪ ডিসেম্বর শিবচর্চা এবং কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোলে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি। সেখানে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। শুভেন্দু ওই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আহত হন বেশ কয়েক জন। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় জিতেন এবং চৈতালি বিরুদ্ধেও।
আরও পড়ুন –এত পচা লোকজন তৃণমূল করে! কে ঢোকাল দলে?’, কুন্তল ইস্যুতে প্রশ্ন মদনের
শুক্রবার দেওয়া নোটিসে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছিল, শনিবার বিকেল ৪টের সময় আবার যাবে তদন্তকারী দল। সেই মতো পৌঁছয় তদন্তকারী দলটি। ওই দলে ছিলেন কম্বলকাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক, এক জন মহিলা সাব ইন্সপেক্টর এবং সার্কেল ইন্সপেক্টর। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পর চলে যান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিতেন এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ঘণ্টা খানেক পর চলে যান তদন্তকারীরা। শনিবার অবশ্য আর কোনও নোটিস দেয়নি পুলিশ।