‘কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে’ এই ,ফিরহাদের বুলি এবার সুকান্তর গলায়

‘কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে’ এই ,ফিরহাদের বুলি এবার সুকান্তর গলায় ,ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্মতলায় ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ পালন করল বিজেপি (BJP)। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উপর শাসক শিবিরের অত্যাচারের অভিযোগের কথা তুলে ধরছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বললেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের যে হার্মাদরা বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে এই ধরনের অমানবিক ব্যবহার করেছে, তারা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়। তারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের নামে খ্যাত হয়ে রয়েছে। এই অত্যাচার দেখে আমার কবির ভাষায় সেই সময় শুধু এটুকুই বলতে ইচ্ছা করেছিল, কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সঙ্গীত হারা, অমাবস্যার কারা। কবি হয়ত এদের কথা স্মরণ করেই লিখে গিয়েছিলেন।’

 

 

 

 

 

রবিঠাকুরের লেখা সেই কবিতার কথা উল্লেখ করে সেই সময়ের ভোট পরবর্তী হিংসার ভয়াবহ অভিযোগের কথা তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। বললেন, একটি বাচ্চা মেয়ে তাঁকে ফোন করেছিল। বলেছিল, ‘আমি মানসবাবুর মেয়ে বলছি। আমার বাবাকে মেরে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে। কোথাও হাসপাতালে ভর্তি করতে পারছি না। আপনি একটু ব্যবস্থা করে দিন।’ সেদিন সুকান্তবাবু হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়ে কলকাতায় এসেছিলেন, তখন মানসবাবুর মেয়ের সামনে তাঁর মৃতদেহে ফুল দিতে হয়েছিল সুকান্তকে। বললেন, ‘আমরা কোনওদিন ভুলিনি, ভুলব না।’

 

 

 

 

আরও পড়ুন – ৬ রাত বাইরে কাটান, সুকান্তর ডেরায় ঢুকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

 

 

 

 

উল্লেখ্য, ‘কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে’ এই কথা সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও শোনা গিয়েছিল। সে অবশ্য ছিল অন্য এক প্রেক্ষিত। মেয়র সেদিন বলতে চেয়েছিলেন, তিনি পুরসভা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না। বলেছিলেন, ‘অনলি কর্পোরেশন’। পরে বলেছিলেন, ‘মিডিয়ায় অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলার জন্য মুখপাত্ররা আছেন।’ সেই নিয়েও অবশ্য জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সেদিন ফিরহাদের প্রেক্ষিত, আর আজ সুকান্তর প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ আলাদা হলেও, উভয়ের মুখেই খুব কম সময়ের ব্যবধানেই রবি ঠাকুরের কবিতার পংক্তি শোনা গেল।