রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবিপক্ষের সূচনা হতে চলেছে শনিবার। সেই পূন্যলগ্নে পিতৃপুরুষকে জলদান করবেন অগণিত মানুষ। সেই কাকভোর থেকেই চলবে জল দান। তার আগে যাতে সাধারণ মানুষের কোন অসুবিধা না হয় তাঁদের এই ক্রিয়াকর্ম করতে, সে কারণেই সকাল থেকে শহর কলকাতার গঙ্গা পাড়ের সবকটি ঘাট কে পরিদর্শন করলেন এবং প্রস্তুতির খুঁটিনাটি দেখলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার।
আরও পড়ুনঃ রেশন দুর্নীতি কান্ডে সাড়ে ৫৩ ঘন্টা পর বাকিবুরকে নিয়ে ফ্ল্যাট ছাড়ল ইডি
তবে কেবলমাত্র মহালয়াই নয়, প্রতি বছরের মতো এবছরও প্রতিমা নিরঞ্জন হবে শহর কলকাতার এই গঙ্গার ঘাট গুলিতেই। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে যাতে কারুরই কোনো অসুবিধা যাতে না হয় তার জন্য জলপথ, স্থলপথ,রেলপথ সহ সব ক্ষেত্রেই ত্রুটিমুক্ত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। একদিকে প্রতিমা নিরঞ্জনের যেমন সুব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কলকাতা পৌরসভা, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে শহর কলকাতার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার সবকটি ঘাট থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সেই প্রতিভা নিরঞ্জন দেখতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে।
নবমীর দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে চক্ররেল, লক্ষ্মীপুজোর নিরঞ্জনের পর আবার চালু হবে চক্ররেল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বারবার করে আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব পুজো কমিটিগুলির কাছে, শুক্রবার ফের আবারও মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার সকলের কাছে আবেদন জানালেন গঙ্গার জল যাতে দূষিত না হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য যেন বজায় থাকে সে কারণেই পরিবেশ বান্ধব রং ব্যাবহার করুন দুর্গা প্রতিমার গায়ে। তবে শহরবাসীর কাছে এখনও পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে দুর্গাপূজার সময় সম্ভবত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এখন থেকেই মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার। তবে শেষ হাসি কে হাসবে সেটাই এখন দেখার।
আসন্ন দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও ছট পুজোর প্রাক্কালে শহর কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন গঙ্গার ঘাট গুলি কি অবস্থায় রয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের কতটা প্রয়োজন রয়েছে এবং অবিলম্বে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে যাতে এই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার লক্ষেই আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ শহর কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার।
এদিন তার সাথে এই ঘাট পরিদর্শনে ছিলেন কলকাতা পুরসভার একাধিক বিভাগের উচ্চপদস্থ dg-রা।
শহর কলকাতার দই ঘাট থেকে এদিন ঘাট পরিদর্শনের কাজ শুরু করেন দেবাশীষ কুমার।
মূলত দূষণমুক্ত ভাবে, দুর্ঘটনা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে সুশৃংখল ভাবে যাতে, শহর কলকাতা প্রত্যেকটি গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় এবং প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও দূষণমুক্তভাবে যাতে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এদিন পরিদর্শনে নামেন দেবাশীষ কুমার।