‘অপারেশন অজয়ের’ সাহায্যে ইজরায়েল থেকে দেশে ফেরানো হল ২১২ জন ভারতীয়কে

'অপারেশন অজয়ে' দেশে ফিরল আরও ৪৭১ জন ভারতীয়

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে থাকা ভারতীয় দের উদ্ধার করে দেশে ফেরালো, ভারতের ‘অপারেশন অজয়’। শুক্রবার সকালে ইজরায়েল থেকে ২১২ জন আটকে পরা ভারতীয় দের নিয়ে নয়া দিল্লি অবতণ করে কেন্দ্রের পাঠানো ওই বিশেষ বিমান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ সে দেশের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে প্রথম বিমানটি ছাড়ে। নয়াদিল্লি পৌঁছয় শুক্রবার সকালে। কেন্দ্রের তরফে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’।

আরও পড়ুনঃ কামদুনি কান্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি মৌসুমী, টুম্পাদের

ভারতীয় দূতাবাসের তরফে  ইজ়রায়েলে থাকা ভারতীয়দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, যাঁরা আগে আসবেন, তাঁরা আগে বিমানে আসন পাবেন। বিমানের সীমিত সংখ্যক আসনের জন্য প্রথম ২১২ জনকে ইজ়রায়েল থেকে ফিরেয়ে এনেছে কেন্দ্র। এছাড়া যার আদেশে ফিরতে চান, তাদের দিতে হবে না কোনো মুল্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর  উপস্থিত ছিলেন  দিল্লির বিমান বন্দরে, ইজ়রায়েল থেকে দেশে ফেরা ভারতীয়দের স্বাগত জানাতে।

 

শুক্রবার সকালে ভারতের মাটিতে পা দেওয়ার পর শুভম সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ”আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ। ইজ়রায়েলে আটকে পড়া অধিকাংশ পড়ুয়াই আতঙ্কিত ছিল। হঠাত্‍ ভারতীয় দূতাবাসের তরফে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়। এতে আমাদের মনোবল বেড়ে গিয়েছিল। দেশে ফিরতে পেরে খুব স্বস্তি লাগছে।”  ‘অপারেশন অজয়’-এর বিশেষ বিমানে চেপে ভারতে ফেরার জন্য তেল আভিভ বিমানবন্দরে এখনও বহু ভারতীয় অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদেরও শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হবে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর।

 

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাত শুরু হয়েছে। তার পরেই ইজ়রায়েলে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ১৪ অক্টোবর বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে বিমান সংস্থা। সে কারণে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। জেরুসালেম, তেল আভিভ-সহ ইজ়রায়েলের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা ১৮ হাজারেরও বেশি। তাঁদের কেউ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। কেউ পরিষেবা ক্ষেত্রের। কেউ কেউ পড়ুয়া। তাঁদের উদ্ধার করে দেশে ফেরাতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার।

 

বৃহস্পতিবার অর্থাত্‍, সংঘর্ষের ষষ্ঠ দিনে ইজ়রায়েলি সেনা জানিয়েছে, প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনী হামাসের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত সে দেশের ১,২০০ নাগরিক মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮৯ জন সেনা। গাজ়ার প্রশাসন জানিয়েছে, সেখানে ১,২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

en.wikipedia.org