প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা( Hasina )। হাসিনা ( Hasina ) আজ এক শোকবার্তায় ( Hasina ) প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। গত ৩১ জুলাই থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বুদ্ধদেব। সেখানেই রোববার রাত সাড়ে ১১টা ১৫ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
আর ও পড়ুন বিশ্বভারতীতে ( Visvabharati ) নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে প্রবল ধস্তাধস্তি পড়ুয়াদের
চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। সে সময় কলকাতার একটি হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ৩৩ দিন লড়াইয়ের পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। তবে এ বার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তাঁর। ‘মাধুকরী’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘কোজাগর’, ‘অববাহিকা’, ‘আয়নার সামনে’, ‘জঙ্গল মহল’, ‘বাবলি’-র মতো উপন্যাসের জন্ম বুদ্ধদেব গুহর লেখনি থেকে।
৫১৯৩৬ সালে বাংলাদেশের রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব গুহ। তিনি মূলত বন, অরণ্য এবং প্রকৃতিবিষয়ক লেখার জন্য সুপরিচিত। তাঁর স্ত্রী প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ঋতু গুহ। তিনি ইংল্যান্ড, ইউরোপের প্রায় সব দেশ, কানাডা, আমেরিকা, হাওয়াই, জাপান, থাইল্যান্ড ও পূর্ব আফ্রিকা ভ্রমণ করেছেন। পূর্ব ভারতের বন-জঙ্গল, পশুপাখি ও বনের মানুষের সঙ্গেও তাঁর সুদীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়।
‘জঙ্গল মহল’ বুদ্ধদেব গুহের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। তারপর বহু উপন্যাস ও গল্পের বই প্রকাশ হয়েছে। তিনি লেখক হিসেবে খুবই অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তাঁর বিতর্কিত উপন্যাস ‘মাধুকরী’ দীর্ঘদিন ধরে বেস্টসেলার। ছোটদের জন্য তাঁর প্রথম বই ‘ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে’। ঋজুদা তাঁর সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় অভিযাত্রিক গোয়েন্দা চরিত্র।