অনেকের অপছন্দ উচ্ছে-করলা ! এই উপায়ে রান্না করলে চেটেপুটে খাবেন l তিক্ত স্বাদ অনেকেরই অপছন্দ। কিন্তু রোজ নিয়ম করে করলা বা উচ্ছে খেতে পারলে রোগ আপনার ধারের কাছে ঘেঁষবে না।উপকারিতা জানা সত্ত্বেও শুধু স্বাদের জন্য অনেকেই করলা-উচ্ছে এড়িয়ে যান। তিক্ত স্বাদ অনেকেরই অপছন্দ। কিন্তু রোজ নিয়ম করে করলা বা উচ্ছে খেতে পারলে রোগ আপনার ধারের কাছে ঘেঁষবে না। লিভারকে পরিষ্কার রাখা থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে করলা। সুতরাং, করলা খেতে পারলে শারীরিক জটিলতা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন। তিক্ত স্বাদ দূর করতে অনেকেই করলার পদে চিনি মিশিয়ে দেন। এভাবে করলা খেলে কোনও উপকারই পাবেন না। বরং আরও অন্য উপায়ে আপনি করলা তেঁতোভাব দূর করতে পারেন।
খোসা ছাড়িয়ে নিন
যদিও করলার খোসা ছাড়ালে তার আর গুণ কী রইল! কিন্তু হালকা করে খোসা ছাড়িয়ে নিলে করলার তিক্তভাব অনেকটাই দূর হয়ে যায়। হালকা করে খোসা নিয়ে তারপর করলা কেটে রান্না করুন। এতে খুব বেশি তেঁতো লাগবে না।
বীজ ফেলে দিন
করলা বীজ বেশি তেঁতো হয়। সুতরাং, আপনি যদি করলার তেঁতো ফেলে দিয়ে রান্না করেন, তাতে খুব ভাল হয়। করলা কাটার সময় বীজগুলো ফেলে দিন। তারপর বাকি অংশটা রান্না করুন।
ভিনিগারে ডুবিয়ে রাখুন
করলা কেটে নিয়ে চিনি ও ভিনিগারে ডুবিয়ে রাখুন। প্রথমে ভিনিগারে চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর ওই মিশ্রণটি করলায় মাখিয়ে নিন। মিনিট ৩০ রাখার পর করলাটা ধুয়ে নিয়ে রান্না করুন। একইভাবে আপনি টক দই দিয়েও করলা ম্যারিনেট করে রাখতে পারেন। এতেও কাজ হবে।
আরও পড়ুন – মহাশিবরাত্রির আগে কেউ যদি এই স্বপ্ন গুলো দেখে থাকেন তাহলে আপনার জীবন…
নুন মাখিয়ে রাখুন
করলা কেটে তাতে নুন মাখিয়ে রাখুন। করলা নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখলে তার তেঁতো ভাব কেটে যায়। তবে আপনাকে অন্তত ৩০ মিনিট করলায় নুন মাখিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটা ধুয়ে নিয়ে রান্না করতে হবে। এছাড়া আপনি নুন জলে ৫ মিনিট করলা সেদ্ধ করে নিতে পারেন। এতেও করলার তেঁতোভাব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
চিনির বদলে গুড় মেশান
চিনি কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। সুতরাং, করলার পদে চিনি মেশালে এর পুরো গুণ নষ্ট হয়ে যাবে। এর বদলে আপনি সামান্য গুড় মেশাতে পারেন খাবারে। করলা রান্না করার সময় অল্প করে গুড় মিশিয়ে নিন। গ্রেট করে মেশাতে পারেন। তাছাড়া চিনির চেয়ে গুড় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর