আর যদি না ফিরি…’ অমিতাভের পোস্টে তোলপাড় ভক্তমহল,

’আর যদি না ফিরি…’ অমিতাভের পোস্টে তোলপাড় ভক্তমহল, ধীরে-ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে অমিতাভ বচ্চন, তেমনটাই ছিল খবর। নিজেই জানিয়েছিলেন ব্লগে। কিন্তু এ কী, সপ্তাহ ঘুরতেই এ কেমন পোস্ট করে বসলেন অমিতাভ বচ্চন! শেষ সপ্তাহের শনিবার মিলেছিল প্রথম খবর। শুটিং সেটে আহত হয়েছেন তিনি। প্রতি রবিবার নিয়ম মাফিক জলসার সামনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করতে উপস্থিত হন বিগ-বি। কিন্তু শেষ রবিবার পারেনি, কারণ শরীরে তখন আঘাত, ডাক্তারের পরামর্শে ছিলেন বিশ্রামে। দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাসের আগামী ছবি ‘প্রজেক্ট K’-এর একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুট করতে গিয়ে গুরুতর চোট পেয়ে বিছানা নিয়েছিলেন অমিতাভ।অমিতাভ বচ্চন তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন, ”হায়দরাবাদে ‘প্রজেক্ট কে’-এর শুটিং চলছিল, অ্যাকশন শটের সময় আমি আহত হয়েছি .. পাঁজরের কার্টিলেজ ভেঙে গিয়েছে এবং ডান পাঁজরের পেশী ছিঁড়ে গিয়েছে .. শ্যুট বাতিল করা হয়েছিল .. হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করা হয়। হায়দরাবাদে এবং বাড়ি ফিরে চলতে থাকে চিকিৎসা … বিশ্রামের পরামর্শ দেন .. হ্যাঁ বেদনাদায়ক .. নড়াচড়া করতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট .. কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলেও জানান তিনি .. ব্যথার জন্য কিছু ওষুধও চালু আছে …”।

 

 

 

খবর সামনে আসার পরই উদ্বেগ ছড়ায় ভক্ত মনে। বর্তমানে কেমন আছেন তিনি? বারে-বারে এই প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা দেওয়ায় আবারও মুখ খুললেন অমিতাভ। লিখলেন সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। তবে এবারের ব্লগটি শুরু হল প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিককে শ্রদ্ধা জানিয়ে। তিনি লিখলেন ১৯৯৮ সাল থেকে তাঁদের একসঙ্গে সিনেদুনিয়ার সফল শুরু। ‘বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। তারপর থেকে একাধিক ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন অমিতাভ-সতীশ। এই ব্লগের শেষেই নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানান বচ্চন।

 

 

এরপরই তিনি ফেরেন তাঁর ভক্তদের কৌতুহলের প্রসঙ্গে। ভক্তদের পাঠানো ছোট ছোট উপহার শিল্পকলাকে তিনি কতটা যত্ন করেন, সম্মান করেন, তা জানান। অমিতাভ লেখেন, ”অতীতে কখনও বলা হয়ে ওঠেনি, কিন্তু শিল্পের প্রতি এই শ্রদ্ধা, সর্বদাই তাঁর মনে ছিল, থাকবেও। ব্যক্তি জীবনে আমি এগুলো নিয়ে আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে চর্চাও করে থাকি।” তবে ভক্তমনে উদ্বেগ সঞ্চার করেছে অমিতাভের লেখা শেষ দু’লাইন।এদিন নিজের ব্লগটি তিনি শেষ করলেন এই লিখেই, ”আমি হয়তো ফিরবো। আশা করি। যদি নাও ফিরি, ভাল থেকো এবং ভালোবাসা নিও।”এই বাক্যটি পড়ার পর থেকেই উদ্বেগের পারদ তুঙ্গে। তবে কি স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নেই বচ্চনের! ৫০ বছর ধরে সিনেদুনিয়ার সফরে যিনি একের পর এক ছক্কা মেরেছেন, জীবন লড়াইয়ে কী হেরে যাবেন? মেনে নিতে রাজি নন ভক্তরা। অভিনেতার বয়স পেড়িয়েছে ৮০, তবুও শক্ত মনে আজও নিজের অধিকাংশ অ্যাকশন দৃশ্যে শুট নিজেই করে চলেছেন। তাঁর সেই অদম্য প্রাণশক্তিই তাঁকে আবারও ফ্লোরে ফিরিয়ে আনবে বলেই বিশ্বাস সকলের। ভক্তরা দ্রুত আরোগ্য কামনায় সামিল।

 

আরও পড়ুন – ৪০টি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবের পরেও বলিউড থেকে হারিয়ে যান এই অভিনেতা,

 

সতীশ স্মরণে অমিতাভ বচ্চন লিখলেন, ”আমরা আরও একজনকে হারালাম। এক অনবদ্য সঙ্গ। প্রসিদ্ধ অভিনেতা কেরিয়ারের মধ্য গগনে চলে গেলেন। তোমার সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মতো। তোমার সঙ্গে কাজ, বহু অনুপ্রেরণা যোগায়। অনেক কিছু শেখায়।”