কামদুনি মামলায় এবার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা রাজ্য সরকারের

কামদুনি প্রতিবাদে রাজারহাটে শুভেন্দু, অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে মৌসুমী-টুম্পা

১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া কামদুনীর এক কলেজ ছাত্রীকে গণ ধর্ষন এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানী। এদিন শুনানীতে নিম্ন আদালতের ফাঁসির সাজা মুকুব করেছে আদালত। দুজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং একজনকে বেকোসুর খালাস করেছে আদালত। আর হাইকোর্টের এই রায়ে খুশি নয় আন্দোলনকারীরা। আর তাই এবার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই সিআইডি কর্তারা কামদুনিতে যান। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কথা হয় কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালের সঙ্গেও।

আরও পড়ুনঃ ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে অখিল ভারত, আজই আসছে রাজভবন পরিদর্শনে

শুক্রবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ হয়ে ওঠা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ হয়ে ওঠা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও।

 

কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ”একজন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বেকসুর খালাস হয়ে গেল। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে এই রায় হত না। রাজ্য সরকারেরও গাফিলতি রয়েছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কামদুনি মোড়ে প্রতিবাদ সভা হবে। সোমবার আমরা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন ফাইল করব।”

 

হাই কোর্টের রায় নিয়ে তেতে ওঠে রাজনীতিও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”কামদুনির নির্যাতনে তৃণমূলের কর্মী যুক্ত, তাই অপরাধীদের আইন থেকে পালাতে সাহায্য করল পুলিশ। নির্যাতিতা বিচার পেল না।” পালটা তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”পুলিশের যে তদন্তে ফাঁসির সাজা হয়, সেই তদন্তেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশও হয়। কী সাজা হবে সেটা তো আদালতের বিচার্য বিষয়।”

en.wikipedia.org