‘কাজ কী করে করাতে হয় জানা আছে’ অফিসারদের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়কের l

‘কাজ কী করে করাতে হয় জানা আছে’ অফিসারদের হুঁশিয়ারি বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়কের lপানীয় জলের প্রকল্প (drinking water) নিয়ে ফাঁকি মারার সুযোগ বাঁকুড়ায় (Bankura) নেই বলে ভিডিও কনফারেন্সে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের জানিয়ে দিলেন তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অরূপ চক্রবর্তী। কাজ কী করে করিয়ে নিতে হয় সেটাও তাঁর জানা আছে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক। কাজের ইচ্ছে না থাকলে আবেদন করে সুন্দরবনে চলে যেতেও পরামর্শ দেন তিনি।

 

 

 

ভিডিও কনফারেন্সে পানীয় জলের অভাব নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি আধিকারিকদের তুলোধোনা করছেন বিধায়ক, সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ল বাঁকুড়ায়। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বাঁকুড়া জেলায় বিধায়ক থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বারবার স্থানীয় মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই ক্ষোভের কারণ হিসাবে উঠে এসেছে এলাকায় জলসঙ্কটের কথা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তাই বিধায়কের ক্ষোভের যেন বাঁধ ভাঙল। দফতরের আধিকারিকদের প্রতি খড়্গহস্ত হতে দেখা যায় তালডাংরার বিধায়ককে। দফতরের আধিকারিকরা কোনও কাজ করছেন না এই অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘এই গাফিলাতির কারণেই কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে এবং তাতে রাজ্যের বদনাম হচ্ছে।’’

 

 

কোনও আধিকারিকের কাজ করার ইচ্ছে না থাকলে তাঁকে আবেদন জানিয়ে সুন্দরবনে বদলি নেওয়ার পরামর্শও দেন বিধায়ক। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘এমনটা চলতে থাকলে আধিকারিকরা জঙ্গলমহলে গেলে আদিবাসীরা তীর ধনুক নিয়ে ঘেরাও করে রাখবে।’’ এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতার কথাও পরে স্বীকার করে নিয়েছেন অরূপবাবু। বিধায়ক জানান, শুধু মুখে নয় সমস্যার কথা লিখিত ভাবেও জানানো হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে।

বাঁকুড়া জেলায় পানীয় জলের সমস্যা নতুন নয়। সম্প্রতি দুর্গাপুর ব্যারেজ ও মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে জল সরবরাহের একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে সেই সমস্যা কিছুটা হলেও মেটানোর চেষ্টা হয়। প্রকল্পগুলি রূপায়নে খরচ হয় কোটি কোটি টাকা। তারপরও সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দিদির দূত কর্মসূচীতে গিয়ে জল সমস্যার কথা শুনতে হচ্ছে তৃণমূল নেতা কর্মী ও বিধায়কদের। বেশ কিছু জায়গায় এলাকার মানুষ দিদির দূতদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান।

বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আধিকারিকদের অবেহেলার কারণেই এলাকার মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। সে কথাই ভিডিও কনফারেন্সে আধিকারিকদের বলেছি। লিখিত ভাবেও তা জানানো হয়েছে।’’

 

আরও পড়ুন –  মেডিক্যালে চালু হচ্ছে ঝাঁ চকচকে প্রাইভেট কেবিন

 

তবে বিজেপির দাবি, এই ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকারের। তৃণমূল নেতা, জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা সম্মিলিত ভাবে কাটমানি খেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে। এখন সেই দায় আধিকারিকদের ঘাড়ে তুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বৈতরনী পেরোতে চাইছে তৃণমূল। সেজন্যেই আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।