কাজের থেকেও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন এত টাকা খোরপোশ নিয়েছেন, ছেলেকে নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনা– ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। এ সবের মাঝেই পিঙ্কি দিলেন এক নতুন বার্তা। সাদা থান পরে আগমন হল তাঁর। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন আমির খানের ‘পিকে’ ছবির কথাও!
পিঙ্কি লেখেন, “শান্তি ও আশীর্বাদ সবসময়ই সাদা। যদি কেউ কোনও মহিলাকে সাদা পোশাকে দেখে তবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের আলাদা মত।” সত্যিই তো, বৈধব্যের রঙ সাদা, হিন্দুধর্ম অনুযায়ী। ওদিকে খ্রিষ্ট ধর্মালম্বী মেয়েরা বিয়ের দিন সাদা রঙের পোশাক পরেন। কারও ক্ষেত্রে সাদা রঙ আনন্দের। কারও ক্ষেত্রে তা আনে বিষাদ– সেই বার্তাই দিয়েছেন পিঙ্কি।
কাঞ্চনের কাছ থেকে খোরপোশ বাবদ ৫৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন পিঙ্কি। তা নিয়ে টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখও খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “প্রথম থেকেই টাকার অঙ্কটা আমি লুকোইনি। কেউ কেউ বলছিলেন আমি নাকি কোটি টাকা পেয়েছি, তাই আমার মনে হয়েছে মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে সবটা তুলে ধরা দরকার। আর নেব নাই বা কেন? বিয়ে তো একটা কনট্র্যাক্ট। সেটা কেউ ভাঙলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া তো আইনেই বলা আছে। আমি তো আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করিনি। ছেলের কাস্টডি বাবা চাননি, ও আমার কাছেই আছে, থাকবে। এই সময় দাঁড়িয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পিছনে কত খরচ হয়, তা কি কেউ জানেন না? আর তা ছাড়া ওঁকে এমনই টাকা বলা হয়েছিল, যা উনি দিতে পারবেন। এমন নয় যে মাসে অথবা বছরে আমি আরও টাকা দাবি করব। এককালীন ৫৬ লক্ষ, ব্যস। যারা বলছেন আমি স্বাবলম্বী তাও কেন পয়সা নিয়েছি, তাঁদেরকে বলছি, আমি তো দিনের শেষে শিল্পী, আজ আমার কাজ আছে, এর পরের ছয় মাস নাও থাকতে পারে। তাই সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা কেন আমি করব না?” পিঙ্কি জানিয়েছেন, খোরপোশ নিয়ে কোনও দরদাম হয়নি তাঁদের, যা চেয়েছিলেন তাই পেয়েছেন। ব্যাপারটা মিটেও গিয়েছে। অতীতে দিকে আর ফিরে তাকাতে চান না পিঙ্কি। এগিয়ে যেতে চান সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে।