বাংলার চাল বাংলাদেশে রপ্তানি হোক দিল্লীর সরকার চায় না ঃ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

বাংলার চাল বাংলাদেশে রপ্তানি হোক দিল্লীর সরকার চায় না ঃ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাংলার চাল বাংলাদেশে রপ্তানি হোক দিল্লীর সরকার চায় না। তার থেকে হরিয়ানা, পাঞ্জাবের চাল রপ্তানি হোক এটা দিল্লীর সরকার চায়। পাঞ্জাব, হরিয়ানাতে মাল চাপানো নামানোর জন্য চার্জ বাংলার থেকে বেশি রেট। তার উপর ট্রান্সপোর্ট চার্জও বাংলার থেকে বেশি। এই রকম ভাবে বাংলার সাথে বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে দিল্লীর সরকার। এমনই বক্তব্য বলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও অত্যাবশ্যক পণ্য নিগমের চেয়ারম্যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

 

রবিবার বর্ধমান জেলা রাইস মিলস্ এ্যাসোসিয়েশন এর পরিচালনায় চতুর্থ রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এসে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, বেনাপল বর্ডার দিয়ে বাংলার চাল বাংলাদেশে রপ্তানি হোক এটা দিল্লীর সরকার চায় না। পাশাপাশি এফ সি আই ধান কেনার ক্ষেত্রে উদাসীন। দিল্লীর সরকার সব ক্ষেত্রে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে যাচ্ছে। বাংলার অধিকার বাংলাকে কেড়ে নিতে হবে। দিল্লী এখন বাংলাকে টার্গেট করেছে। কাজকর্মে ও কাগজের মধ্যমে অধিকার কেড়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন – মাছ মাংসের চড়া দাম, তাই চাহিদা বেড়েছে ঝিনুকের

পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশকে একরকমভাবে দেখছে আর বাংলার সাথে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। আমরা বন্ধ রাইস মিলগুলি খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও বন্ধ রাইস মিল খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লী চাইল না। তিনদিন ধরে এই চতুর্থ রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হয়। বর্ধমানের আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, রাইস মিলারদের কিছু সমস্যা আছে আমি জানি।

 

আপনারা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সমস্ত বিষয়টা জানান। প্রয়োজনে দিল্লীকে আবার চিঠি দিতে হবে। প্রয়োজনে ঘনঘন বোঝাতে হবে দিল্লী। রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আব্দুল মালেক জানান, মেলায় দেশ বিদেশের মেশিনারির বিভিন্ন কোম্পানী এই মেলায় অংশগ্রহণ করে ছিল। মেলায় দুদিনে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এছাড়া এদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া ও বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট মানুষজন।