কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চে ‘জয় ইন্ডিয়া’ স্লোগান দিয়ে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী ? ‘জয় ইন্ডিয়া’ স্লোগান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চ থেকে এমন স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে চমকানো ধমকানো যাবে না।’’ বক্তৃতার একেবারে শেষে মমতা স্লোগান দেন, ‘‘জয় বাংলা, জয় ইন্ডিয়া।’’ সোমবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত কন্যাশ্রী দিবসের মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে চমকানো ধমকানো যাবে না।’’ বক্তৃতার একেবারে শেষে মমতা স্লোগান দেন, ‘‘জয় বাংলা, জয় ইন্ডিয়া।’’
কন্যাশ্রী প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ কন্যাশ্রী একটি ব্র্যান্ড। আমি বিশ্বাস করি। কন্যাশ্রী দিবস সারা দেশে এক দিন ওয়ার্ল্ড গার্ল চাইল্ড ডে হিসেবে পালিত হবে। কন্যাশ্রীর লোগো গরিব মেয়ের ছবিকে নিয়েকে তৈরি করি। কন্যাশ্রীর গানটিও আমার লেখা এবং লোপামুদ্রার গাওয়া।’’ রাজ্যের সব শিঙ্গাঙ্গনগুলির প্রধানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস। আমি ফ্রিডম অ্যাট মিড নাইট প্রোগ্রাম চালু করেছিলাম। আজ দুটি অনুষ্ঠানেও যেতে হবে। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানদের বলব একবার আলিপুর মিউজিয়াম ঘুরিয়ে নিয়ে যান। স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষ্যে করেছি।’’
স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় মমতা বলেন, ‘‘স্বাধীনতার যুদ্ধ, স্বাধীনতার লড়াই সবটাই কিন্তু বাংলা থেকে হয়েছিল।কোনও দিন যদি আন্দামান নিকোবর জেলে যাও,দেখবে যত নাম আছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশ নাম আছে বাংলার।আর বাদবাকি পঞ্জাবের। সুতরাং বাংলা যে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল, সেটা নতুন করে বলার প্রয়োজন লাগে না।’’তিনি আরও বলেন,‘‘বাংলার সংস্কৃতি,বাংলার মেধা এগিয়ে চলুক।কেউ যেন থামাতে না পারে। বাংলাকে যেন কেউ চমক দেখাতে না পারে।বাংলাকে আমরা চমক দেখাব,উন্নয়নের সঙ্গে।বাংলাকে ধমকানি নয়,চমকানি নয়।বাংলা আমার কাছে আমার ঘর।আমার ঘর, মায়ের শাড়ির আঁচল,আম্মার শাড়ির আঁচল।হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সবাই একসঙ্গে থাকবে।বাংলা সংহতির এক প্রধান কেন্দ্র।’’
আরও পড়ুন – যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, ‘দোষীদের’ শাস্তির শপথ নিলেন বাবা,
বক্তৃতার শেষে নিজের লেখা কবিতা সংকলের বই থেকে দুটি কবিতাও পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রথম যে কবিতাটি পাঠ করেন, তার নাম ‘আমার ঠিকানা’।মুখ্যমন্ত্রী জানান,এই কবিতাটি তিনি লিখেছিলেন সিঙ্গুর নিয়ে আমরণ অনশনের ২৬তম দিনে।আর ‘মাটির ঘর’ নামে একটি কবিতা পাঠ করেন।