অনুব্রতর চাপ বাড়লো ! এবার মেয়ের মুখোমুখি হবেন অনুব্রত ,দিল্লি যাচ্ছেন সুকন্যা! কবে? গত মঙ্গলবারই দিল্লিতে ইডির কাছে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। আর বুধবার তলব করা হয়েছিল কেষ্টর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও। কিন্তু বুধবার ইডি অফিসে হাজিরা দেননি সুকন্যা। ইডি আধিকারিকদের কাছে আইনজীবী মারফত একটি চিঠি পাঠিয়ে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে, এবার দিল্লিতে যেতেই হচ্ছে সুকন্যাকে। জানা গিয়েছে, সুকন্যা মণ্ডল আগামী ২০ মার্চ, অর্থাৎ সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে যাবেন।
ইডি সূত্রের খবর, এই সুকন্যা এবং জনৈক বিদ্যুৎবরণ গায়েন মিলে নীর ডেভেলপার নামের একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। এই কোম্পানির খাতায় ছিল ৯০ কাঠা খালি জমি। ইডির দাবি, প্রথমে ১৬ জন শেয়ার হোল্ডারের সঙ্গে চুক্তিপত্র গঠন করেন বিদ্যুৎ এবং সুকন্যা। পরে ওই জমির মালিকানা পুরোটাই তাঁরা নিয়ে নেন। এছাড়াও আরও একটি মোবাইল সরঞ্জাম সামগ্রীর কোম্পানিও সেই হিসেবরক্ষকের কেরামতিতে বাজারমূল্য থেকে কম দামে সুকন্যার নামে কেনা হয়েছিল। এসব জানতেই তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে।
অন্যদিকে ইডির দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে–বেনামে প্রচুর ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছে এবং তার মাধ্যমেই গরু পাচারের বিপুল টাকা হাতানো হয়েছে। সমবায় ব্যাঙ্কে প্রায় ৩০০টি বেনামি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মেয়ে সুকন্যা, হিসাবরক্ষক মণীশ–সহ ১২জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তারা। এমনকী সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক, অনুব্রতর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডলের নামও রয়েছে।
আরও পড়ুন – আরও গভীরে কুন্তল ঘোষের টলিউড-যোগ? কুন্তলকে নিয়ে মুখ খুললেন টলিউডের আর এক…
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর পরই তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, সে সময়ে তাঁর বিপুল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, সব তথ্যই রয়েছে তাঁর বাবা অনুব্রত ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির কাছে। তাঁর বয়ানের সত্যতা যাচাই করতে তাই তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছিলেন তদন্তকারীরা।