কেজরীবালের মাস্টারস্ট্রোক! এবার বাংলায় দিল্লির ধাঁচে ‘মহল্লা ক্লিনিক’ খুলল AAP,

কেজরীবালের মাস্টারস্ট্রোক! এবার বাংলায় দিল্লির ধাঁচে ‘মহল্লা ক্লিনিক’ খুলল AAP, এইবার এই রাজ্যেও উদ্বোধন হল অস্থায়ী মহল্লা ক্লিনিকের। আম-আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) উদ্য়োগে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এই মহল্লা ক্লিনিকের (Mohalla Clinics) উদ্বোধন করা হল। শনি ও রবিবার মিলে মোট ন’টি জায়গায় পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ বিনামূল্যে এই চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা পাবেন।

 

 

 

 

 

 

আপের মহল্লা ক্লিনিক

আজ মুর্শিদাবাদ বিধানসভার নতুন গ্রামে এই মহল্লা ক্লিনিকের (Mohalla Clinics) আয়োজন করা হয়। ১২ জন চিকিৎসকের একটি দল সেখানে চিকিৎসা করেন রোগীদের।সোহেল রানা আলম বলেন, “দিল্লিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে-গ্রামে এই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

 

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নবান্নে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল-সহ তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০২৪-কে সামনে রেখে এই দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কংগ্রেসের সঙ্গে এই দুই নেতৃত্বের সম্পর্কের যে সমীকরণ সে আবহেও এই সাক্ষাৎ আলাদা গুরুত্বের দাবিদার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

 

 

 

 

আরও পড়ুন – আলোচনা করেই বিচ্ছেদ, নিজের খুশির জন্যই আবার বিয়ে- দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ…

 

 

 

 

 

দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের আপ সরকারের প্রকল্প ‘মহল্লা ক্লিনিক’নজর কড়েছে। পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটেও এই প্রকল্পকে অন্যতম হাতিয়ার করে ক্ষমতা দখল করেছে আপ সরকার। তাহলে কি বাংলায়ও ‘মহল্লা ক্লিনিক-কে’ হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে কেজরীবালের সরকার? সেই প্রশ্নই উঠছে। এর আগে উত্তরবঙ্গে গঠিত হয়েছিল আম আদমি পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিল। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তাহলে বাংলায়ও নিজের বিস্তার করতে চাইছে আপ? কারণ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তারপরই লোকসভা নির্বাচন। বঙ্গে নিজেদের জমি ধরে রাখতে বিরোধী দলগুলো একাধারে যেমন সর্বত চেষ্টা করে চলেছে সেই রকমভাবে আপ-ও কি নিজেদের ডালপালা বিস্তার করতে চাইছে সে বিষয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও আপ নেতা সোহেল রানা আলম বলেন, “আমরা চাই যে অরবিন্দ কেজরীবাল প্রধানমন্ত্রী হন। তবে সরকারে আসতে আমরা কেউ রাজনীতিতে আসিনি। ক্ষমতায় আসি বা না আসি মানুষকে তাঁর মৌলিক অধিকার দেওয়া আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।”