দোল এবং হোলির দিন শহরের জলাশয় ও ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাতে নির্দেশ দিল লালবাজার। দোল ও শবে-বরাতের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার নগরপাল। সেখানেই তিনি জলাশয়গুলির উপরে বিশেষ ভাবে নজর রাখার নির্দেশ দেন। প্রতি বছর দোলের দিন জলাশয় বা ঘাটে স্নান করতে নেমে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। এ বার যাতে তেমনটা না ঘটে, সেটাই দেখতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। যে সব ঘাটে বা জলাশয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা থাকবেন না, সেখানে স্থানীয় থানাকে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। নদী ও ঘাট-সহ শহরের ৪৮টি পুকুর বা জলাশয়ের পাড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর থাকার কথা।
শনিবার দোল, হোলি এবং শবে-বরাতে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই দিনগুলিতে যাতে শহরে পথ দুর্ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়েও জোর দিয়েছেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’দিন বেপরোয়া কিংবা মত্ত অবস্থায় মোটরবাইক চালানো নিয়ে নগরপাল সরাসরি কিছু না বললেও দুর্ঘটনা রোধে সব রকম ব্যবস্থা নিতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই দু’দিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ পিকেট থাকবে। বেপরোয়া মোটরবাইক দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার দিনে এবং রাতে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে পুলিশ পিকেট রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বুধবার, হোলির দিনও তা বজায় থাকবে। একই সঙ্গে জোর করে কোথাও রং দেওয়ার অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, দোলের আগের রাত থেকেই শহরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশি টহলদারি শুরু হয়ে যাবে। শহরের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই দু’দিন চারশোরও বেশি জায়গায় বিশেষ পুলিশ পিকেট বসানো হবে।
আরও পড়ুন – বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন! নাকতলা রোডের একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হল…
এক পুলিশকর্তা জানান, প্রতি বারই দোল বা হোলির দিন রং খেলার পরে অনেকে মত্ত অবস্থায় স্নান করতে জলে নামেন। সেই অবস্থায় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পুকুর এবং গঙ্গার ঘাটে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।