উত্তরপ্রদেশে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের আহরৌলি বাজার থানার বিজয়ী কাফ গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় এক পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম গীতা চৌধুরী,বয়স ১৫ ,তাঁর বাবা রমেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, রাতে তিনতলা বাড়ির ছাদে ঘুমিয়ে ছিল গীতা। কিন্তু সকালে গ্রামের প্রধান তাঁর পরিবারকে খবর দেন, পাশের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে গীতার দেহ পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন, মাটিতে গীতার নিথর দেহ পড়ে আছে এবং তাঁর হাতে কাটা চিহ্ন থেকে রক্ত ঝরছিল।
মৃতার পরিবারের দাবি, গীতা গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে কথা বলত। তিন মাস আগেও তাঁদের মধ্যে বিবাদ হয় এবং সেই যুবক গীতাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। সেই সময় বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল, যেখানে সমঝোতা হয়েছিল। এরপর ওই যুবক গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেও সম্প্রতি ফিরে আসে এবং ফের গীতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। মৃতার দিদি সরোজ দেবীর অভিযোগ, ওই যুবকই গীতাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তবে গীতার মা বলেছেন, “আমার মেয়ে ছাদে ঘুমোচ্ছিল, কার সঙ্গে কথা বলছিল, তা জানি না। আমাদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই।”
এই রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তমকুহিরাজের সার্কেল অফিসার (CO) অমিত সাক্সেনা জানিয়েছেন, “১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীর দেহ পরিত্যক্ত বাড়িতে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং শীঘ্রই ঘটনার আসল সত্য উদঘাটন হবে। বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
