শান্তিনগর এলাকার বহু দিনের পুরোনো বাসিন্দা সরকার পরিবার। পরিবার অনেক বড় হলেও একই বাড়িতে থাকেন সকলে। পরিবারের বড় দাদা সাধন সরকারের স্ত্রী লতা সরকার ও মেয়ে তিয়াশা সরকার। পরিবার সূত্রে খবর , মা ও মেয়ে একই ঘরে ঘুমিয়েছিল শনিবার রাতে। রবিবার সকালে সাধন সরকার প্রতিদিনের মত বাজার সেরে কাজে বেরিয়ে পড়েন। অন্যদিকে সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরতে চললেও, ঘরের দরজা না খোলায় খানিকটা চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের অন্য সদস্যরা। ফোন করে ডেকে আনা হয় সাধন বাবুকে। তারপরই দরজা ভেঙে দেখেন, ঝুলন্ত অবস্থায় লতা সরকারের দেহ। অন্যদিকে মেয়ে তিয়াশা সরকারের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা বুঝতে পারছেন না পরিবারের কেউই।
সাধন সরকারের ভাই দুলাল সরকার জানান , “একই বাড়িতে আমরা সকলে থাকি। দাদা সকালেই কাজে বেরিয়ে যায়। দুপুরের পরেও দরজা না খোলায় আমাদের সন্দেহ হয়। ফোন করে দাদাকে ডেকে এনে দরজা ভেঙে আমরা সকলেই চমকে গেছি। কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটাল মা-মেয়ে, তা আমরা বুঝতেই পারছি না। গতকাল রাতেও সকলের সঙ্গেই কথা হয়েছে। কে জানে এই ধরনের কাজ করবে! তবে দাদারা যে কোনও সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে, তা বৌদির কথাবার্তায় টের পাওয়া যেত।” পুলিস সূত্রে খবর, মেয়ে তিয়াশার গলায় বিদ্যুতের তার পেঁচানো অবস্থায় ছিল। লতা সরকার যে নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন তা স্পষ্ট। কিন্তু মেয়ে তিয়াশা সরকারের মৃত্যু নিয়েই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।