আঞ্চলিক দূর্গাপুজোর থিম ‘কৈলাসে হর-পার্বতী

আঞ্চলিক দূর্গাপুজোর থিম ‘কৈলাসে হর-পার্বতী। ঝাড়গ্রামের সাপধরা অঞ্চলের আঞ্চলিক দূর্গাপুজোর এবারের থিম ‘কৈলাসে হর-পার্বতী’। হাজার হাজার মানুষ প্রত্যেক বছর সুযোগ পেলে একবার হলেও বরফে ঢাকা কৈলাশ ভ্রমণের চেষ্টা করেন। কিন্তু, সেই বরফে ঢাকা কৈলাশ এবছর ঝাড়গ্ৰাম জেলাবাসী দেখার সুযোগ পাচ্ছেন নিজের জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ পুজো প্যান্ডেলে।

আরও পড়ুন – ভাষা সমস্যায় পথহারা তেলেঙ্গানার এক অসহায় ব্যক্তিকে ঘরে ফিরিয়ে নজীর

ঝাড়গ্রামের সাপধরা ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক পুজো প্যান্ডেল এবছর সেজে উঠছে ‘কৈলাশে হর-পার্বতী’ থিমে। ৫০ বছরের পুজোয় এবছর বরফে ঢাকা কৈলাশে স্থান পাবেন দেবী। প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, পুজো কমিটির এবছরের পুজোয় থিমের মন্ডপ সজ্জার পাশাপাশি থাকছে মনোরম আলোকসজ্জা এবং সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান। অষ্টমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত থাকছে বিভিন্ন শিল্পীর অনুষ্ঠান।

 

সাপধরা আঞ্চলিক পুজো কমিটির ‘কৈলাশে হর-পার্বতী’ থিমের এই মন্ডপের কাজ জোর কদমে চলছে সাপধরা অঞ্চলের ঢোলকাঠ গ্রামের প্রনবানন্দ নিম্নবুনিয়াদী বিদ্যালয়ের মাঠে। শিল্পী আশিষ চক্রবর্তী তার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী চট, সিমেন্ট, সিনথেটিক, খড়, রং, তুলো ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন বরফে ঢাকা কৈলাস। থিম মেকার আশিষ চক্রবর্তী বলেন, ‘পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। সিনথেটিক তুলোর উপর রং করে বরফের দৃশ্য আনা হবে’।

 

পুজো উদ্যোক্তা অম্বিকা প্রসাদ মাহাতো জানান, ‘হিন্দু ধর্মে কৈলাস পর্বত হিন্দু ধর্মীয় পুরাণ অনুসারে কৈলাস পর্বতকে শিবের লীলা ধাম বলা হয়। সেখানে শিব ও তার সহধর্মিনী দুর্গা এবং কার্তিক গণেশ ও শিবের ভক্তবৃন্দদের নিয়ে কৈলাসে বসবাস করেন। আমাদের পুজো মণ্ডপ তারই দর্শন ভক্তবৃন্দদের পূর্ণ হবে বলে আমরা মনে করছি’। পুজোর উদ্যোক্তা জগদীশ মুর্মু বলেন, ‘এলাকার মানুষ প্রতিবছর প্যান্ডেল পুজো দেখে অভ্যস্ত, বিগত দুই বছর অতি করোনা মহামারীর কারণে সেই ভাবে পুজো দেখতে পারেনি।

 

বর্তমানে প্যান্ডেল পূজোর চেয়ে ‘থিম’ পুজো দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। তাই সুবর্ণ জয়ন্তীর ৫০ তম বর্ষ উপলক্ষে এলাকার মানুষের মনে আনন্দ প্রদান করতে কমিটির পক্ষ থেকে ‘থিম’ পুজোকেই বেছে নেওয়া হয়েছে’। পুজো কমিটির তরফ থেকে আরও জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের এই সাপধরা আঞ্চলিক এই পুজোয় প্রতি বছর এলাকার প্রায় ২৭টি গ্রামের মানুষ মেতে উঠেন। হাতে গোনা কয়েকদিন পরই দূর্গাপুজো। সেজন্যই পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।