কলকাতার সেরা বনেদি বাড়ির পুজো কোন গুলো? জানুন বিস্তারিত

কলকাতার সেরা বনেদি বাড়ির পুজো কোন গুলো? জানুন বিস্তারিত

১। সাবেক একচালা ডাকের সাজের মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা এক সময়ে চন্দ্রবাড়ির দালানেই তৈরি হত, কুমোরটুলি থেকে তৈরি করিয়ে আনা হয়। প্রতিপদাদিকল্পে পুজো হয় এই বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী, অর্থাৎ, মহালয়ার পরের দিন থেকে আরম্ভ হয় বোধন। আরো একটি বিশেষত্ব হল সন্ধিপুজোর সময়ে দক্ষিণাকালীর মন্ত্রে দুর্গার পুজো হয়।

 

২। মল্লিকবাড়ির পুজো, অর্থাৎ টলিপাড়ার বিখ্যাত অভিনেতা রণজিৎ মুল্লুকের বাড়ির পুরোনো পুজো, কন্যা অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক এর বাড়িতে প্রতিবছর এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন বলি দুনিয়ার বহু তারকারা, এক ঝাঁক তারকা দর্শন করতে চাইলে এই বাড়িতে চলে আসতেই হয়। পশুবলি না হলেও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে কুমারী পুজো থেকে শুরু বাকি সব আচার-অনুষ্ঠান নিষ্ঠাভরে পালন করা হয়।

 

৩। মঠচৌড়ি পদ্ধতিতে দত্তবাড়ির পুজো হয়। অর্থাৎ ঠাকুরের মাথায় থাকে তিনটি করে চালা।নারায়ণের আশীর্বাদ নিয়ে তবেই শুরু হয় পুজো। দত্তবাড়ির দুর্গা প্রতিমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল দেবীকে শাড়ি না পরিয়ে তাঁর গায়েই তুলি দিয়ে অপূর্ব কায়দায় শাড়ি এঁকে দেওয়া হয়। প্রাচীন রীতি মেনে এখানে দশমীর দিন কোনও সিঁদুরখেলা হয় না। এই খেলা হয় অষ্টমীর দিন।

৪। সেন বাড়ির ঠাকুরদালানে পুজোর আয়োজন দেখতে প্রতিবছরই আসেন বহুমানুষ মানুষ, অত্যন্ত নিষ্ঠার এই পুজোতে অনেকেই নিজেদের ভক্তি অর্পণ করে মায়ের কাছে মানত করে , পুজো দেন। ১৮৫৭ সাল থেকে এই বাড়িতেই প্রতিবছর পুজোর আয়োজন হয় বংশ পরম্পরায়। অন্য পুজোর প্রতিমার সঙ্গে এই পুজোর তফাৎ হল এখানে গণেশের জায়গায় কার্তিক আর কার্তিকের জায়গায় গণেশ থাকেন। এটি পূর্ব বঙ্গের রীতি।

আরও পড়ুন – ভাষা সমস্যায় পথহারা তেলেঙ্গানার এক অসহায় ব্যক্তিকে ঘরে ফিরিয়ে নজীর

৫। প্রায় একশ বছরেরও বেশি পুরনো এই পুজো। এখানকার প্রতিমা দ্বিভুজা অভয়া দুর্গা। পায়ের নীচে সিংহ। দুর্গার পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের মূর্তি। কাঠামো পুজো হয় উল্টোরথের দিন। ষষ্ঠাদিকল্পে পুজো, অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন বোধন হয়।

 

৬। মায়ের চিরন্তন আদলেই অক্রুর দত্ত বাড়ির পুজো হয় বহু বছর ধরে, সাবেক একচালা ডাকের সাজের মহিষাসুরমর্দিনী প্রতিমা। তবে এই প্রতিমা তৈরির আগে কাঠামো পুজো হয় রথের দিন। সাবেকি নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠীর দিনে হয় বোধন। কলাবউ স্নান হয় বাড়ির ঠাকুরদালানেই। আগে পশুবলি হলেও এখন আখ ও ছাঁচিকুমড়ো বলি দেওয়া হয়।