কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কি বললেন শমিক ভট্টাচার্য

কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কি বললেন শমিক ভট্টাচার্য। ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য গতকাল প্রেসিডেন্সিতে এসএফআইও টিএমসিপি গন্ডগোল নিয়ে বলেন, বামফ্রন্টের আমলে ৭০ শতাংশ কলেজে নির্বাচন হতো না একটা শান্তিপূর্ণ নিরব সন্ত্রাস চলেছিল সর্বত্র। তার থেকে শিক্ষাঙ্গনকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের পালাবদল কিন্তু আরো ভয়ানকভাবে নখ দাঁত বের করে তারা আক্রমণ করেছে বহু ছাত্র আহত হয়েছে অতীতে এই ঘটনা চলছে, যতদিন যাবে আরও বাড়বে যতদিন এই সরকার আছে এদের মাথার উপরে বটগাছ হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে আছে ততদিন পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নেই।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক নিয়ে বলেন, যারা এই সেটিং তথ্য পশ্চিমবঙ্গ মানুষের সামনে বলেছে মানুষ সেটা শুনেছেন বুঝেছেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে দুটো দলকেই একদম সাইড লাইনের বাইরে করে দিয়েছেন বিরোধী শুন্য করে দিয়েছেন কার্যত যারা এতদিন বিরোধী ছিলেন কংগ্রেস সিপিএম নেই তারা মাঠের বাইরে বসে ২০২৪-এও খেলা দেখবে ২০২৬-এও খেলা দেখবেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে রক্ষা খবর চাইতে এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজনীতিতে অপান্তেও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া কিছু ব্যক্তি এইভাবে কথা বলে বিতর্ক তৈরি করে ভেসে থাকতে চাইছেন…….. তিনি দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করবেন না একথা ভারতবর্ষের মানুষ জানে গিয়েছে।……… কোথাও কোন তল্লাশি কমবে না সবে তো শুরু কলির সন্ধ্যে আসতে আসতে দেখুন কি হচ্ছে।

দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর অফিস তল্লাশি নিয়ে বলেন, কংগ্রেস এবং দুর্নীতি সমার্থক শব্দ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তৈরি করা একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক তছরুপ হয়েছে অভিযোগ এনেছে কোন বিজেপি বিরোধীরা তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে তদন্ত হচ্ছে কোর্টে কোর্ট তদন্তকে আরো বেশি গতিশীল করতে বলেছে এখন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে নেতা-নেত্রীর নামে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে স্বাধীনতার সংগ্রামী সম্পত্তিকে সেজন্য ইডি সিল করেছে বাদ বাকিটা বলতে পারবে।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুখোমুখি বসে জেরা করা প্রসঙ্গে বলেন, দেখুন ভেতরে কে কি করছে বন্ধ ঘরে আমাদের জানা নেই জানার কথা ও না আমি ইডির প্রতিনিধি নই এই ধরনের সূত্রের খবরে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে আমি অপারগ তবে একটুখানি বলতে পারি সব কিছু দিনের আলোর মতো পরিষ্কার মানুষকে মূর্খ মনে করার কোনো কারণ নেই অচেতন মনে করার কোন কারণ নেই বেলঘড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ দৃশ্যমানতা আজকে সকলের সামনে আছে।

গরু পাচার চক্রে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে বলেন, মন্ডল কুমন্ডলের রাজনীতি বিজেপি করে না বিজেপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চায় এই দুর্নীতির যুক্ত যারা এই লুমপেন ক্যাপিটাল তৈরি করে তা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সমাজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে তাদের হাত থেকে মুক্তি এবং প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি কিভাবে তদন্ত হচ্ছে কেন তদন্ত হচ্ছে কোথায় তদন্ত হচ্ছে এটা দেখবার বিষয় আমাদের নয়।

আরও পড়ুন – গত এক সপ্তাহের বর্ষায় ফুলেঁ ফেপে উঠেছে তিস্তা

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী আক্রান্ত হয়েছেন তাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা ঘরে ঢুকে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যা করেছেন এটা নজিরবিহীন খুব কুরুচিকর আমরা বারবার বলছি ওটা একটা সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে যাচ্ছে রবীন্দ্রভারতী প্রাঙ্গণে ছাত্রদের নামে কিছু বাইরের মানুষ গিয়ে শিক্ষকদের হেনস্থা করছেন এখানে পঠন পাঠন বন্ধ এমনকি ১১৬ জনের যে রিক্রুটমেন্ট প্রসেস ছিল সেটা সম্পন্ন হওয়ার পরও রেজাল্ট কাজ করতে দেওয়া হয়নি পিএইচডি এলি লেবেল টেস্টের যে প্রশ্নপত্র সেটা কে মাফ করে দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে দখলদারি চলেছে এর বিরুদ্ধে আমরাও প্রতিবাদ করেছি আমরা অবস্থান করবো

 

ভবিষ্যতে এবং একই সঙ্গে উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে যখন চিঠি দিয়েছেন তারা অসহায়তার কথা প্রকাশ করে আশা করব এই বিষয়টা এত কিছু পরে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম জড়িত সেখানে কিছু একটা করবেন ওদিকে তো তার দলের লোকেরা ঝান্ডা নিয়ে দখল করতে চলে গেছে এক বিশ্বভারতী তো দখলে এবার আরেক রবীন্দ্রভারতীতে তান্ডব রবীন্দ্র প্রেমী যারা আছেন মুখ্যমন্ত্রীরা তো সকলের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে বসে আছেন বোলপুরে সম্পত্তিও বানাচ্ছেন আমাদের নেতারা এবার একটু রবীন্দ্রনাথের দিকে তাকান ভালো করে।

রাহুল গান্ধীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, দেশে চরম ভয়াবহ পরিস্থিত এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের অবস্থা চরম ভয়াবহ দুর্নীতিগ্রস্তদের কাছে লুটেরাদের কাছে দেশে প্যারাডিয়াম শিফট হয়ে গেছে এখন যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই ইডি যেখানে দুর্নীতি সেখানে সিবিআই কারণ নরেন্দ্র মোদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কংগ্রেস মুক্ত ভারত কংগ্রেসি সংস্কার মুক্ত ভারত এই কথাই উনি বারবার বলেছেন কোন সংস্কার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে ভারত বর্ষ পার্টির সম্পত্তিকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে রেজিস্টার করার বিরুদ্ধে ভারত বর্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের টাকা অন্য ফান্ডে চ্যানেলাইজ করে জনসেবার নামে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা খোলার বিরুদ্ধে ভারত বর্ষ অবশ্যই ভয়াবহ।