সহকর্মী ও তৃণমূল তারকা সাংসদ নুসরতকে নিয়ে সরব রুদ্রনীল ঘোষ

সহকর্মী ও তৃণমূল তারকা সাংসদ নুসরতকে নিয়ে সরব রুদ্রনীল ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সহকর্মী ও তৃণমূল তারকা সাংসদ নুসরতকে নিয়ে সরব রুদ্রনীল ঘোষ , তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ। মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়ার নাম করে প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধদের থেকে ২৪ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ। ২০১৪ সালে এই টাকা নেওয়া হয় বলে দাবি। সেসময় ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত। তাঁর নামে আদালত থেকে ইডি-তে মামলা দায়ের প্রতারিতদের। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেই অভিযোগ আনার আড়াইদিন বাদে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে মুখ খুললেন নুসরত জাহান। তাতেও মেলেনি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। কারণ প্রশ্ন শোনার আগেই মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে চলে যান নুসরত।

 

 

 

 

 

নুসরতের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রুদ্রনীল বলেন, সত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য ও প্রেস কনফারেন্স ডাকেনি। ওঁর সাংবাদিক বৈঠক দেখলাম। সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ, যুক্তি সম্পন্ন প্রশ্ন এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়াও দেখলাম। আমার সহকর্মী তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান সব জানতেন। তিনি জানতেন অভিযোগ হয়েছে। নিম্ন আদালতে মামলা গিয়েছে। উনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসার আড়াইদিন পর নিজের পক্ষের কথাটুকু রেখে বাকি উত্তর না দিয়ে পালিয়ে গেলেন। উনি নিজেই প্রমাণ করেছেন, কেন প্রেস কনফারেন্স ডেকেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, শঙ্কু পন্ডা যে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের গ্রেফতারির দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বিজেপি নেতা ও অভিনেতা বলেন, ‘যেদিন আইনসভার এক সদস্য, একজন সাংসদ হয়ে ভোট চাইতে গিয়ে বিরোধীদের বাঁশ পেটা করার নিদান দিয়েছিলেন, সেদিনই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হননি কারণ তিনি যে দলের সাংসদ তারা আইনকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেন।’

 

 

 

আরও পড়ুন – অফিসারদের হাত ধরেই সেনায় বেআইনি নিয়োগ? গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

 

 

 

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বলছি, আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়াটা শাসক দলের স্বভাব। এখন দেখা যাচ্ছে দলটা এতটাই দুর্নীতি প্রবণ যে মহিলা ও মহিলা শিল্পীদেরও দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়াতে রাজি করে ফেলছেন।’ বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কথা বলার সময় টেনে আনে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের কথাও। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকেও ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে আবাসের টাকা নিয়ে আরও এক তারকা সাংসদের নামে ওঠা অভিযোগ নিয়েও সরব হন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল। তিনি বলেন, ‘আবাসের টাকা কীভাবে লুঠ হয়েছে তা সবার জানা। শাসক দলের তারকা সাংসদের নাম জড়ানোর পর শহরাঞ্চলে দেখা গেল একই ঘটনা। সম্বলহীন, অসহায় প্রবীণদের প্রতারণায় একইভাবে জড়াল নুসরতের নাম। এর আগে সংগঠিত ক্রাইমের মধ্যে মহিলাদের নাম দেখা যেত না। এখন সেখানেও শাসক দলের মহিলাদের নাম। বাংলার সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীদের নামও কলুষিত করছেন এঁরা। সাধারণ মানুষের সামনে এরকম একটা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করছেন যে, বাকিরা যারা এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নন, তাদের মানুষ একইরকম কলঙ্কিত ভাবছেন। এটা মর্মান্তিক’

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top