রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা শুভেন্দুর , ঠিক কী অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী? কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশন শেষে শুভেন্দুর স্পষ্ট বার্তা, ‘ তিনি চান না, বাংলার লোকের চাকরি হোক।’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালেই প্রথম দফায় সল্টলেকে আচার্য সদনের সামনে এবং পরে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক অভিযোগ করে বলেন, ‘ এরা সংসদীয় ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না।’ ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ এবং ‘খাম খেয়ালিপনার’ কারণে বিধানসভায় বিরোধীদের বলতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। বিরোধী সমস্ত বিধায়কদের পারফরম্যান্স শাসক দলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।তাই যত কম বিধানসভায় আলোচনা হয়,যত কম জনস্বার্থের বিষয় বিধানসভায় তুলে ধরা যায়,সেটাই শাসক দল চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান,মুখ্যমন্ত্রীর নিজে চান না এই রাজ্যের ছেলেমেয়েদের চাকরি হোক।তাঁর যুক্তি,একজনকে চাকরি দিতে গেলে নূন্যতম কাউকে ২৫ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।তাঁর কথায়,মুখ্যমন্ত্রী এতেও ভোটের রাজনীতি করছেন।সেই কারণে রাজ্যের একাধিক বিভাগে শূন্যপদ থাকলেও তিনি নিয়োগ করছেন না।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উদহারন টেনে শুভেন্দু জানান,মুখ্যমন্ত্রী একজনকে ২৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে চাকরি দিতে চান না।তিনি ওই ২৫ হাজার টাকা ৫০০ টাকা হিসেবে ভাগ করে দুশো লোককে দিতে চান।তাতে তাঁর ভোটের পরিমাণ বাড়বে বলে জানান বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন – সহকর্মী ও তৃণমূল তারকা সাংসদ নুসরতকে নিয়ে সরব রুদ্রনীল ঘোষ
শুভেন্দু এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন,’আমি কেন ২৫ হাজার টাকা একজনকে দেব।আমি ওই ২৫ হাজার টাকা ব্যায় করে ৫০০ টাকা করে একাধিক পরিবারকে দেব,তাহলে আমরা ২০০ ভোট পাবো,এটাই উনি চান।’পাশাপাশি,বিধানসভায় বিরোধীদের বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে এদিন একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন সাংবাদিক বৈঠকে।তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা এবার লুকিয়ে লুকিয়ে ডাকা হয়েছে।বিধানসভায় বিরোধীদের একাধিক বিষয়ে উত্থাপিত করতে দেওয়া হয় না।নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান এরকম একাধিক ইস্যুতে তিনি বিধানসভায় সোচ্চার হতে চেয়েছেন,বিধানসভায় আলোচনা করতে চেয়েছেন,তারপরেও সেটা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।