অপেক্ষা করছি, নবান্নে কবে অধীর চৌধুরীকে ফিশ ফ্রাই খাওয়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , কটাক্ষ সুকান্তর, বড় জয় রাহুল গান্ধীর! সাংসদ পদ খোয়ানোর ৪ মাসের মাথায়, ৭ অগস্ট সোমবার সুপ্রিম-নির্দেশে পুনরায় সংসদে ফিরে এলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর এই ঘটনায় রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কংগ্রেস ও তৃণমূলের যৌথভাবে উল্লাস প্রসঙ্গে নবান্নের এক পুরোনো ঘটনা তুলে ধরে বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বামেদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও তোলেন তিনি। আবার রাহুল গান্ধীকে ফের ‘পাপ্পু’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। অন্যদিকে, রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গে বিরোধীদের বিজেপিকে আক্রমণ ‘হাস্যকর’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।
রাহুল গান্ধীর সংসদে ফিরে আসা প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “রাহুল গান্ধী এসে গিয়েছেন। এবার পাপ্পু-টু সিরিজ শুরু হবে। কংগ্রেসের চিনের সাহায্য আরও শক্তিশালী হবে।” তবে রাহুল গান্ধী মূল মামলা থেকে এখনও রেহাই পাননি, মূল মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলেও বিরোধীদের স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার।
অন্যদিকে, মোদী-পদবি বিতর্ক মামলায় রাহুল গান্ধীর জয়, পরাজয় নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী একটি সম্প্রদায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। সেই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে, মামলাটি বাতিল করেনি। আর বিজেপি মামলাটি করেনি। সুতরাং বিজেপিকে আক্রমণ করা হাস্যকর। এই মামলার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আমাদের লড়াই ময়দানে।” এপ্রসঙ্গে রাহুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে স্মরণ করিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জামিনে রয়েছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী কংগ্রেসের পরিবারের লোকেরাই মামলা করেছেন। তাঁদের টাকা তছরুপ হয়েছে।” একইসঙ্গে কেরলে, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে শাসকদলের জোট নেই। অথচ ইন্ডিয়া জোট করেছে তোপ দেগে বিজেপি নেতার মন্তব্য, “মানুষ স্থায়িত্বের পক্ষে। জোট-বিজোটের মধ্যে থাকে না।”
আরও পড়ুন – লোকসভায় ফিরেই টুইটার বায়ো বদল রাহুল গান্ধীর
এদিন রাহুল গান্ধীর সংসদে ‘রি-এন্ট্রি’ কেবল কংগ্রেস নয়, ইন্ডিয়া জোটের কাছেও বড় জয় বলে মনে করছেন বিরোধীরা। সেই জয় উদযাপন করতেই এদিন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। এপ্রসঙ্গেই তীব্র কটাক্ষ করেন বাংলার বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার দু-বছর পর ২০১৪ সালে বামফ্রণ্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ অন্যান্য বাম প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নিজের ঘরে বসিয়ে ফিস ফ্রাই খাইয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে বলেন, “অপেক্ষা করছি, নবান্নে কবে অধীর চৌধুরীকে ফিশ ফ্রাই খাওয়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান বসুও সঙ্গে থাকবেন।” বাংলায় অধীর চৌধুরী ক্রমাগত তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও সংসদে দুই দলের সাংসদদের সখ্যতা প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করেন সুকান্ত।।