লতা মঙ্গেশকরকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছিলো? আজ ৯২ বছরে পা রেখেছেন কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। জন্মদিনে লতা মঙ্গেশকারকে সারা দেশ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। যত খ্যাতি, ততই বাড়ে শত্রু। এমনই কথা উঠে এসেছে পদ্মা সচদেবের লেখা ‘লতা মঙ্গেশকার: অ্যায়সা কাঁহা সে লাউঁ’ গ্রন্থে। জানা যায়, ১৯৬২ সালে নাকি খাবারে বিষ মিশিয়ে নাকি খুন করার চেষ্টা হয়েছিল তাঁকে! লতার বয়স তখন ৩৩। হঠাৎই এক ভোরে তাঁর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। সবুজ বমি করতে থাকেন তিনি। আস্তে আস্তে সারা শরীর অসাড় হয়ে পড়ে। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন গায়িকা। চিকিৎসককে খবর দিতেই তিনি বাড়িতে এক্স রে–র ব্যবস্থা করেন। ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন তাঁকে।
এক্স রে রিপোর্ট থেকে জানা যায়, পাকস্থলীতে বিষ রয়েছে। টানা তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছিলেন লতা। ১০ দিন পরে অবস্থার উন্নতি হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন তিনি। তখনই চিকিৎসক জানান তাঁকে কেউ বিষপ্রয়োগ করে খুন করতে চেয়েছিল।
আর ও পড়ুন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিধু, কারণ কি ?
বিষক্রিয়ার প্রভাবে অনেক দিন পর্যন্ত লতা গরম খাবার খেতে পারতেন না। বরফের টুকরো মেশানো তরল খাবার খেতেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই লতাকে কে মারতে চেয়েছিলেন তা জানা যায়নি। লেখক পদ্মা তাঁর বইয়ে জানিয়েছেন, লতার রাঁধুনি এই ঘটনার পরেই নাকি পারিশ্রমিক না নিয়ে আচমকা কাজ ছেড়ে চলে যান।
এর আগে ওই রাঁধুনি বলিউডের বেশ কিছু তারকার বাড়িতে কাজ করেছিলেন। লতার প্রাণসংশয়ের খবর ছড়াতেই টানা বেশ কিছু দিন সন্ধে ৬টায় তাঁর বাড়িতে আসতেন বিখ্যাত গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী। তিনি এসে স্যুপ আগে নিজে চেখে দেখতেন। তারপর তা খেতে দেওয়া হত হত লতা মঙ্গেশকারকে।