দিঘা ছেড়ে পুজোয় মন্দারমণির প্রতি ঝোঁক বাড়ছে কেন?

দিঘা ছেড়ে পুজোয় মন্দারমণির প্রতি ঝোঁক বাড়ছে কেন?

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গত দেড় বছর ধরে করোনা মহামারীর ( Mandarmani ) যে দাপট দেখেছে দেশবাসী, তাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সবাই। লকডাউন, রেস্ট্রিকশনের জেরে ভ্রমণপ্রিয়রা ঘুরতে যেতে পারেননি সেভাবে। তবে পুজোর সময় ঘুরতে যাওয়ার ঝোঁক সমস্ত মানুষদের মধ্যেই দেখা যায়। বঙ্গের এক আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট হল দিঘা। প্রতিবছরই পুজোর ছুটিতে ঠাসা ভিড় হয়। তবে এবার দিঘার পরিবর্তে পুজোয় পর্যটকদের বেশি টানছে মন্দারমণি। তেমনই বলছে হোটেলের অগ্রিম বুকিংয়ের লিস্ট।

কুড়ি সালের আগে অবশ্য দিঘার প্রতি চাহিদা বেশি ছিল মানুষের। তিন-চার মাস আগে থেকে দিঘার হোটেলের সব ঘর বুক হয়ে যেত। কিন্তু এ বার দৃশ্যটি অন্যরকম। মহালয়ার দু’দিন আগে ৩০ শতাংশ রুমও বুক হয়নি। তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ীরা।

জানা গিয়েছে, ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে সাতশোর কাছাকাছি হোটেল এবং লজ রয়েছে। আছে সরকারি গেস্ট হাউসও। পুজোর পাঁচ দিনের জন্য বিশেষ প্যাকেজ চালু থাকে। তবে এই প্যাকেজের চাহিদা এত বেশি যে পুজোর কয়েক মাস আগে বুক না করালে আর পাওয়া যায় না।

আর ও  পড়ুন    গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন?

দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তীর কথায়, ‘মাত্র ৩০ শতাংশ ঘর বুক হয়েছে ( Mandarmani )। এখনও পুরোপুরি দুর্যোগমুক্ত হয়নি দিঘা। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে বুকিং বাড়বে।’

নিম্নচাপের জেরে অশান্ত সমুদ্র। তাই স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে প্রশাসন। এবার ছুটি কাটাতে এসে সমুদ্রস্নানের মজা নিতে না পারলে লোকে আসবে কেন? অন্যদিকে, মন্দারমণিতে কড়াকড়ি তুলনায় কম। তাই সেখানে লোকের ভিড় দেখা যাচ্ছে। পুজোর ক’দিনের জন্য ইতিমধ্যেই হোটেল বুক হয়েছে গিয়েছে। মন্দারমণি হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দেবরাজ দাস বলেছেন, ‘আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সব হোটেলের বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।’

তবে রয়েছে কয়েকটি সরকারি বিধি। যা মানতে হবে পর্যটকদের। করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হলেই সৈকতের হোটেলে ঘর মিলবে। নাহলে সঙ্গে থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। এমনকী পর্যটকদের জন্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top