বাঘের আতংক-এ পলাশবাড়ি সঞ্জয় নদীর দুই পাশের এলাকায়। বাঘের আতংক আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশবাড়ি সঞ্জয় নদীর দুই পাশের এলাকায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে ঘটনাস্থলে বনকর্মী মোতায়েন করেছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কতৃপক্ষ। এলাকায় তল্লাসি চালিয়ে লেপার্ড ও বুনো শুকরের পায়ের ছাপ পেয়েছে বনদফতর। আর তাতেই আতংক আরো বেড়েছে। এলাকার প্রায় সব বাড়িতে দরজা জানালায় খিল এটে ঘর বন্দি মানুষজন।
কাছেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল রয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি এফ ও দীপক এম বলেন, “ মঙ্গলবার রাত থেকেই ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা রয়েছেন। কয়েকটি জন্তুর পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। লেপার্ডের পায়ের ছাপও পাওয়া গিয়েছে। পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে লোকালয় থেকে লেপার্ড বনাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। ভয়ের কোন কারন নেই। রাতেও ওই এলাকায় বনকর্মীরা থাকবেন। তারা লাইট জ্বালিয়ে পাহাড়া দেবেন।”
আর ও পড়ুন লরি ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ট্রাক্টর চালকের
বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকেরা আতংকে জড়োসড়ো হয়ে রয়েছেন।বাঘের আতংকে বাড়ির ছোটদের ঘর থেকে বের হতে মানা করে দিয়েছেন অভিভাবকরা। এলাকার রাস্তা ঘাট শুনশান হয়ে রয়েছে। এলাকার উপপ্রধান সৌরভ পাল বলেন, “ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানিয় একজন বাঘ দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা সারারাত বাঘ খুজেছি। কিন্তু বাঘের হদিশ পাই নি। এলাকার লোকেরা ভয়ে আতংকে শিটকে রয়েছেন। লেপার্ড ধরার জন্য খাচা পাতুক বন দফতর। ” স্থানিয় বাসিন্দা অমূল্য বর্মন বলেন, “ ভয়েরতো যথেষ্ট কারন রয়েছে। একজন বাঘ দেখেছে। বন দফতর বলছে হয়তো বাঘ জঙ্গলে চলে যেতে পারে। কিন্তু এলাকার ঝোপ ঝার বা চাবাগানে লুকিয়ে থাকলেতো যে কোন সময় যে কোন রকম বিপদ হতে পারে। সকলকে সাবধানে থাকতে হবে।”