চোখের পলকে শেষ করে দেবে প্রাণ , কোন কোন সাপ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ বিজ্ঞানীদের

চোখের পলকে শেষ করে দেবে প্রাণ , কোন কোন সাপ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ বিজ্ঞানীদের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

চোখের পলকে শেষ করে দেবে প্রাণ , কোন কোন সাপ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ বিজ্ঞানীদের, এমন অনেক সাপ আছে যারা খুব কমই মানুষের সংস্পর্শে আসে। কিন্তু তাদের একফোঁটা বিষও কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য় যথেষ্ট। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীতে 600টি বিষাক্ত প্রজাতির সাপ রয়েছে। সাপে ভয় পান না এমন মানুষ খুঁজে পাওযা বেশ কঠিন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীতে অনেক ধরনের বিষাক্ত প্রাণী রয়েছে। তবে সাপ তার মধ্যে একটি, যা মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) মতে, প্রতি বছর সাপের (Snake) ছোবলে আক্রান্ত হন 54 লাখ মানুষ। যার মধ্যে 81 হাজার থেকে 1 লাখ 38 হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এমন অনেক সাপ আছে যারা খুব কমই মানুষের সংস্পর্শে আসে। কিন্তু তাদের একফোঁটা বিষও কয়েক সেকেন্ডের মধ্য়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য় যথেষ্ট। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীতে 600টি বিষাক্ত প্রজাতির সাপ রয়েছে। তার মধ্য়ে কেবলমাত্র 200 প্রজাতির সাপের কামড় একজন মানুষকে কয়েক সেকেন্ডে মেরে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিষধর প্রজাতির সাপেদের তালিকা ঠিক করেছেন। যার মধ্য়ে আপনাকে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর 5টি সাপের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

 

 

 

১. ইনল্য়ান্ড তাইপান (Inland Taipan)

ইনল্য়ান্ড তাইপান সবচেয়ে বিপজ্জনক সাপের তালিকায় প্রথমে আসে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ নিউরোফার্মাকোলজির মতে, এর এক ফোঁটা বিষই মানুষ ও প্রাণী হত্যার জন্য যথেষ্ট। এরা কুইন্সল্যান্ড এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়ার প্লাবনভূমিতে মাটির ফাটলে বাস করে। এছাড়া এরা ইঁদুরের গর্তে বাস করে। এই সাপগুলি খুব কমই মানুষের সংস্পর্শে আসে। এই প্রজাতির সাপ একবার কামড়ানো শুরু করলে একাধিকবার কামড় দেয়। অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম ওয়েবসাইটের মতে, ইনল্যান্ড তাইপান একটি হিংস্র সাপ। বিজ্ঞানীরা এই সাপটিকেই সবচেয়ে বিপজ্জনক সাপ বলেছেন। তাদের মতে, সাপের বিষ মাপা হয় এলডি50 স্কেলে। এই স্কেলে সাপের বিষের ক্ষমতা মাপা হয়। আর গবেষনায় দেখা গিয়েছে, যে কোনও সাপের থেকে ইনল্যান্ড তাইপানের বিষ অনেক বেশি তীব্র। তা হল 110 মিলিগ্রাম।

 

 ২ . কোস্টাল তাইপান (Coastal Taipan)

বিশেষজ্ঞদের তালিকাভুক্ত করা দ্বিতীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক সাপ হল কোস্টাল তাইপান বা উপকূলীয় তাইপান। এই সাপ খুব দ্রুত চলতে পারে যা অনুমান করার বাইরে। এই কোস্টাল তাইপান সাপ ভেজা বনে বাস করে। যখনই বিপদ অনুভব করে তখনই তারা মুখ খুলে শত্রুর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় মুখ থেকে বিষ বার করে শত্রুর দিকে ছুড়ে মারে। 1956 সালে এই সাপের বিষ কমানোর জন্য একটি ওষুধ প্রস্তুত করেছিল বিজ্ঞানীরা।

৩. ব্যান্ডেড ক্রেট (Banded Krait)

সবচেয়ে বিপজ্জনক সাপের তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ব্যান্ডেড ক্রেট। ভারতেও এই সাপ পাওয়া যায়। এটি দিনের বেলায় ধীরে ধীরে চলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অন্ধকার হলে তাদের কামড়ানোর সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে। এই সাপের বিষ মানুষের শরীরের মাংসপেশিকে অবশ করে দিতে পারে। আর কিছুক্ষনের মধ্য়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যেতে পারে।

4. ভাইপার স্নেক (Viper Snake)

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সাপের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভাইপার স্নেক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাপটির কামড়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরা হিস-হিস শব্দ করে না। এই সাপটি কামড়ালে সেই জায়গা থেকে প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরণ হয়। বিষ রক্তে প্রবেশ করার পরে তা জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর কিছুক্ষনের মধ্য়েই সেই ব্য়ক্তি মারা যান।

 

আরও পড়ুন –কন্যার হাতটুকুই শুধু বেরিয়ে ধ্বংসস্তূপের বাইরে, ছুঁয়ে বসে নির্বাক পিতা

 

৫. কিং কোবরা (King Cobra)

তৃতীয় সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল কিং কোবরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিং কোবরা পৃথিবীর দীর্ঘতম বিষাক্ত সাপ। লন্ডনের ন্য়াচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম অনুসারে, এর দৈর্ঘ্য 5.4 মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এরা 100 মিটার দূর থেকে যেকোনও বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায়। কিং কোবরা যখন কোনও বিপদ অনুভব করে, তখন এটি তার মেরুদণ্ডের সাহায্য়ে অর্ধেক খাড়া হয়ে যায় এবং শত্রুর দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই সাপের এক ছোবলে প্রায় 7ML বিষ নির্গত হয়। তারা একই সময়ে তিন চারবার কামড়ায়। আর প্রতি কামড়ে অতটা পরিমান বিষই নির্গত হয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কিং কোবরার কামড়ে একজন মানুষের 15 মিনিটে এবং একটি হাতির কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রাণ যেতে পারে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top