দার্জিলিং-এ প্রায় ৭৫হাজার শিশুদের রুবেলা টিকাকরন সম্পন্ন

দার্জিলিং জেলায় প্রায় ৭৫হাজার শিশুদের রুবেলা টিকাকরন সম্পন্ন।শিলিগুড়ি পুর এলাকায় শিশুদের রুবেলা টিকাকরনের সংখ্যা পেড়িয়ে গিয়েছে ২৬,৬০০। শ্বাসকষ্ট এবং অনাক্রমতা, পুষ্টির অভাব ও এপিলেপসি মৃগী রোগ এই তিন উপসর্গ যুক্ত শিশুদের মিজারেল রুবেলা টিকাকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দপ্তরের।

 

শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকে ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী রুবেলা টিকাকরণের পর আচমকা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে মৃত্যুর অভিযোগের পরই নতুন করে জেলায় জেলায় বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। গত ১৬ ই জানুয়ারি ওই নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনার পর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল বোর্ড, দার্জিলিং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভবন জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক করে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এরপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নতুন সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়।

 

বর্তমানে নতুন নির্দেশিকা আরও কড়াকড়িভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষনের বিষয়টি জোড় দেওয়া হয়েছে। টিকা প্রাপক শিশুদের মধ্যে তিনটি উপসর্গের ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে। জেলা প্রশাসনের সংশোধিত নির্দেশিকায় চিকিৎসক, ক্যাম্পের মেডিকেল অফিসার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা পূর্ব রেকর্ড, অনাক্রম্যতা এবং পুষ্টির অভাব ও মৃগী রোগের লক্ষণ থাকা শিশুদের বিদ্যালয়ের পরিবর্তে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা হাসপাতালে মিজারেল ও রুবেলা টিকা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সেমত বিদ্যালয় টিকাকরনের সময় তেই অভিভাবকদের কাছ থেকে শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের।

 

সেক্ষেত্রে কোন শিশুর শ্বাসকষ্ট সহ এই তিন ধরনের উপসর্গ মধ্যে কোন একটির লক্ষণ থেকে থাকলে অভিভাবকের উপস্থিতিতে সেই শিশুর হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য দপ্তরে পরবর্তীতে টিকা প্রদানের করা হবে। যাতে কোনরকম ক্ষণস্থায়ী সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হয়। বিদ্যালয়ের টিকা করন শিবিরের মেডিকেল অফিসারকে সে বিষয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে হবে।শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেডিকেল অফিসার সঞ্জিব মজুমদার বলেন নতুন গাইড লাইন অনুসরণ করা হচ্ছে।

 

শ্বাসকষ্ট, অনাক্রম্যতা, পুষ্টির অভাব মৃগী এ ধরনের লক্ষণ থাকা শিশুদের বিদ্যালয়ে টিকাকরণ সম্পন্নের পর পরবর্তী সময়তে স্বাস্থ্য দপ্তর কিংবা হাসপাতালে অভিভাবকদের টিকা প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি শহরে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় মিলে ১৯শে জানুয়ারী পর্যন্ত ২৬ হাজার ৬০০ শিশুর টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন টিকাকরণের গাইডলাইন যথেষ্ট শক্ত সেক্ষেত্রে শিশুর শারীরিক সমস্ত রকমের পরীক্ষণ করেই টিকা প্রদান করা হয়। দেশের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ রাজ্যে এটি কারন হয়েছে কোথাও কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনা ঘটেনি।

আরও পড়ুন – কেশপুরে গোষ্ঠী কোন্দল, পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে মানস ভুঁইয়া

তিনি বলেন মিজারেল রুবেলা কোন নতুন টিকার ডোজ নতুন কিছু নয়, ৯ মাস থেকে বারো বছর বয়সেই মধ্যে সাধারণ টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই এটি আগে থেকেই বহু বছর ধরে রয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে পুর এলাকার টিকাকরনের হার স্কুলগুলিতে ৮০ থেকে ৫০ -৬০% শতাংশ। এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা শাসকের এস পূন্নাম বললাম বলেন- গাইডলাইনে আগে থেকে শ্বাসকষ্ট সহ বেশ কিছু সমস্যা থাকা শিশুদের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার উল্লেখ্য রয়েছে। বর্তমানে আরও শক্ত ভাবে নির্দেশিকা কে লাগু করা হয়েছে। ৭৫হাজার