বহরমপুরের সাংসদ হয়ে বহরমপুরেই বাধার মুখে অধীর চৌধুরী! ভাগীরথী মিল্ক নিয়ে তুলকালাম

বহরমপুরের সাংসদ হয়ে বহরমপুরেই বাধার মুখে অধীর চৌধুরী!
বহরমপুরের সাংসদ হয়ে বহরমপুরেই বাধার মুখে অধীর চৌধুরী!
বহরমপুরের সাংসদ হয়ে বহরমপুরেই বাধার মুখে অধীর চৌধুরী! ভাগীরথী মিল্ক নিয়ে তুলকালাম। কংগ্রেসের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তেতে উঠল বহরমপুর। শুক্রবার বহরমপুরের ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নে একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দুগ্ধ চাষি ও কংগ্রস নেতাকর্মীরা। সেই সময় বহরমপুরের ( Berhampore ) পঞ্চাননতলা এলাকায় পুলিশ তাঁদের মিছিলে বাধা দেয়।

পুলিশ পথ আটকালে অধীরবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা এরপর প্রতিবাদ জানান। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি।মিছিলে যাওয়ার আগে বাংলার দুধ চাষিদের বঞ্চনা নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীরবাবু। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়নের যাঁরা দুধ উত্‍পাদক তাঁদের আমরা দুগ্ধচাষি বলি। তাঁরা দীর্ঘ দিনধরেই বঞ্চিত। সারা দেশের দুধের সমবায়ের তাক লাগানো প্রসার ঘটেছে।’

অধীরবাবুর অভিযোগ, এরাজ্যে দুধ চাষিদের আর্থিক পরিস্থিতি অন্য রাজ্যের দুধ চাষিদের তুলোনায় করুণ। যখন অন্যান্য রাজ্যে সমবায়ের মাধ্যমে দুধচাষিদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক সমবায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, এদিন সাংবাদিক বৈঠক শেষ করেই ডেপুটেশন দিতে জমা দিতে মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন অধীরবাবু। মাঝরাস্তা আচমকাই তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। অধীরবাবুকে জানায় তাঁদের আর এগোতে দেওয়া যাবে না। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

অধীরবাবু বাধা পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, ‘ডিস্ট্রিক কালেক্টর সব ভুলে গেছেন। ওঁরা আইন-কানুন সব ভুলে গেছেন।’

যদিও পুলিশের দাবি, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই ভাবে সভা করা যায় না। ওই সভা ঘিরে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার জন্যই এই সভায় অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ।দুপক্ষের বোঝা পড়ার পর প্রশাসনের নির্দেশ মেনে কংগ্রেসের পাঁচজন প্রতিনিধি ডেপুটেশন জমা দিতে যায়।

লোকসভায় অধীর সাসপেন্ড হতেই ফুঁসছে কংগ্রেস, ইস্যুতে রাজ্যসভায় সরব খাড়গে

en.wikipedia.org