স্কুটি রাখা নিয়ে ঝামেলায় বাঁশদ্রোণীর যুবকের মুখে চপারের কোপ মারলেন এলাকার এক মত্ত বাসিন্দা।

স্কুটি রাখা নিয়ে ঝামেলায় বাঁশদ্রোণীর যুবকের মুখে চপারের কোপ মারলেন এলাকার এক মত্ত বাসিন্দা। চপারের ঘায়ে গুরুতর জখম যুবক এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যুবকের পরিজনেদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বন্ধুদের দাবি, বছর ছাব্বিশের প্রসেনজিৎ সর্দারের মুখের বাঁ দিকে কোপ মারেন এলাকার এক মত্ত বাসিন্দা। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই যুবকের বন্ধুরা। চপারের ঘায়ে গুরুতর জখম যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যুবকের বন্ধুদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।

 

 

 

এই হামলায় প্রসেনজিতের মুখের বাঁ দিকে গুরুতর আঘাত লাগে বলে জানিয়েছেন বন্ধুরা। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

 

 

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রসেনজিৎ সর্দার নামে বাঁশদ্রোণীর এক যুবককে চপার দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে বাপ্পা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বছর ছাব্বিশের প্রসেনজিতের ডেকরেটিংয়ের ব্যবসা রয়েছে। বুধবার তাঁর এক গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আনতে স্কুটিতে চড়ে তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রানিয়ায় গিয়েছিলেন। রানিয়ার রাস্তার পাশে একটি জমিতে তাঁর স্কুটিটি রেখে টাকা আনতে যান। সেই স্কুটি রাখাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত বলে দাবি।

 

আরও পড়ুন – নোবেলজয়ীর বাবা আশুতোষ সেনের বিরুদ্ধেই ‘চালাকি করে’ জমি দখলের অভিযোগ তুলল বিশ্বভারতী!

 

 

অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মত্ত অবস্থায় এসে ওই স্কুটিটি তাঁর জমি থেকে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নিতে বলেন। ওই এলাকায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। ঝামেলা হচ্ছে দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান প্রসেনজিতের বন্ধুরা। তাঁদের সঙ্গে স্কুটি সরানো নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তার মধ্যেই পাশের একটি দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র এনে প্রসেনজিতের মুখে মারেন অভিযুক্ত। জখম যুবকের বন্ধু ভোলা নস্করের দাবি, ‘‘প্রসেনজিতের স্কুটিটা বাপ্পার জমিতে দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ বাপ্পা এসে সেটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নিতে বলে। সে সময় মত্ত অবস্থায় ছিল বাপ্পা। আমাদের সঙ্গে অযথা ঝামেলাও শুরু করে। স্কুটিটা সরানোর জন্য কিছু ক্ষণ সময় চেয়েছিলাম। তবে আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এর পর পাড়ার একটা দোকান থেকে চপার নিয়ে এসে স্কুটিতে কোপ মারে। প্রসেনজিৎকেও চপার দিয়ে কোপ মেরেছে বাপ্পা। আমাদের কয়েক জনকেও চপার দিয়ে আক্রমণ করে। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’’