অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে নস্যাৎ করে কি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ?

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে নস্যাৎ করে কি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ? আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাজ করছে, তাদের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। আদালতের নির্দেশে তদন্ত এগোবে। এমনকি, ইডি, সিবিআইকে দেওয়া কোনও তথ্য শুভেন্দু অধিকারীর কাছে এসেছে বলে যে দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছে ত অসত্য বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

 

 

 

 

 

 

গতকালই এসএসসিতে সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাকে যদি সত্যি ধরি আমরা, তাহলে প্রথম পয়েন্ট হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করে নিলেন তাঁর সরকারের আমলে এসএসসি দুর্নীতি হয়েছে। তার মানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের স্বীকার করছেন বেইমানি করে চাকরি বিক্রি করেছেন। আর দ্বিতীয় প্রশ্ন তদন্ত হবে অপেক্ষা করুন।”

 

 

 

 

মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কালীঘাটের কাকু কালীঘাটের ডাকুকে বাঁচাতে পারবে না। আমাদের সঙ্গে সিবিআই-এর কোন যোগাযোগ নেই আমরা রাখতেও চাই না যা তদন্ত হচ্ছে আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। আদালত যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবেই তদন্ত হবে।” সোমবারই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করার পর সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। ইডি, সিবিআইয়ের কাছে থাকা তথ্য শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যাচ্ছে কী করে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সুকান্তর জবাব, “এরকম কোন তথ্য বাইরে এসেছে তার কোনও প্রমাণ নেই। উনি কতবার বিদেশে গিয়েছে, সেই তথ্য তো জনসাধারণকে জানানো উচিত।”

 

 

 

 

 

বিরোধী দলনেতা দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সুকান্ত মজুমদার এদিন জানান, আমাদের বিরোধী দলনেতা দেখিয়েছিলেন কোনও একজনের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে। এই তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে অবশ্যই তার জবাব দিতে হবে না। তিনি বলেন, “আজকে আমার নামে বিদেশে কোনও অ্যাকাউন্ট থাকে সেখানে যদি টাকা জমা পড়ে তাহলে আমাকে তার জবাব দিতে হবে। সেই টাকা কে জমা দিয়েছে কেন জমা দিয়েছে। পৃথিবীতে এত নিঃশর্ত পরোপকারী লোক আছে কি?”

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন – নর্দমার জল দিয়ে ডাব ধুচ্ছেন বিক্রেতা! দেখুন সেই ভিডিও

 

 

 

রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করার বিষয়ে সুকান্ত বলেন, ” ওঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ আছে।লুকআউট নোটিশ থাকলে অনুমতি নিয়ে বিদেশে যেতে হয়।অনুমতি নিতে হয়।দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।কেন যেতে চেয়েছিলেন আমি জানিনা।তবে তাদের পরিবারের দু’জন গিয়েছিলেন তারা আজ অবধি ভারতবর্ষে ফেরেননি।”