লাদাখে বিশ্বে সর্বোচ্চ বিমানঘাটি তৈরি করতে চলেছে ভারত, বৃহস্পতিবার ভিত্তিস্থাপন। ২০১৭ সালে ডোকালাম সীমান্তে চিন এবং ভারতের সেনাবাহিনীর অচলাবস্থার পর থেকেই ভারত-চিন সীমান্তে পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই উদ্যোগ আরও গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার, পূর্ব লাদাখে, সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাইওমা বেল্টে, বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক বিমানঘাঁটি নির্মাণ করতে চলেছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন বা বিআরও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, আগামীকাল অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
পিটিআই জানিয়েছে, এই বিমানঘাঁটি তৈরির আনুমানিক বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১৮ কোটি টাকা। ১৩,৪০০ ফুট উচ্চতায় এই বিমানঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। নাইওমা বেল্ট এলাকা ভারতীয় অংশে, চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি থেকে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখনও পর্যন্ত, এই অঞ্চলে সামরিক বিমান পরিষেবার জন্য নাইওমা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড ব্যবহার করা হয়। এই গ্রাউন্ডকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা হচ্ছে নয়া বিমানঘাঁটি।
আরও পড়ুনঃ সশরীরে হাজিরা দিতে হবে নুসরত জাহানকে, জানালো আদালত
২০২০ সালের পর থেকে, একের পর এক চিনুক হেভি-লিফ্ট হেলিকপ্টার এবং সি-১৩০জে বিমান সেনা কর্মী এবং সামরিক সাজ সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে এই ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে। বিমানঘাঁটি নির্মিত হলে, সেখানেই বাহিনী মোতায়েন রাখা যাবে। যা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিআরও-র এক কর্তা জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখে বিমান পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এই ঘাঁটি। তিনি বলেছেন, “এই বিমানঘাঁটি নির্মাণের ফলে লাদাখে বিমান পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হবে। আমাদের উত্তর সীমান্তে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।”
১২ সেপ্টেম্বর অবশ্য শুধু লাদাখের এই এয়ারফিল্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনই করবেন না রাজনাথ সিং। ২,৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের তৈরি আরও ৯০টি পরিকাঠামো প্রকল্পের উদ্বোধনও করার কথা তাঁর। এর মধ্যে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা এবং ব্যারাকপুর এয়ারফিল্ডের পুনর্গঠন প্রকল্পও। বিআরও-র জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই দুই এয়ারফিল্ডের পুনর্গঠনে মোট ৫২৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেছেন, “এই এয়ারফিল্ডগুলি উত্তর সীমান্তে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক উড়ান পরিচালনাতেও সহায়ক হবে।”