ধ্বংসস্তূপে অলৌকিক জন্ম শিশুকন্যার, দত্তক নিতে চেয়ে হাজার আবেদন! একের পর এক লাশ জমে পাহাড় তৈরি হচ্ছে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় (Turkey Earthquake)। তারই মধ্যে প্রাণের স্পন্দনে চমকে উঠছেন উদ্ধারকারীরা। সর্বহারাদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সেইসব আর্তনাদের মধ্যে শোনা গেল এক সদ্যোজাতর কান্না! মৃত্যুমিছিলের মধ্যেই সিরিয়ার এই বিপর্যয়ে পৃথিবীর আলো দেখল শিশুটি। সিরিয়া যখন ভূমিকম্পে দুলছে, তখন প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন শিশুটির মা। হাসপাতালের যে ঘরে শিশুটির জন্ম হয়, সেটাই ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে সকলে। সেই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শিশুটির বাবা-মা দু’জনেই। পরপর ভূমিকম্প, তার মধ্যেই বৃষ্টি! তুরস্কের ধ্বংসস্তূপে যেন ধ্বংসলীলা চলছে প্রকৃতির
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আরফিন এলাকার ঘটনা। সোমবার ভোরের ভূমিকম্পের পর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারী দল যখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ওই বাচ্চা ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। কিন্তু সেখানে ছিলেন শিশুটির বাবা-মা। যদিও পরে পাশের এই বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নীচ থেকে বের করে আনা হয় দুটি নিথর দেহ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে প্রাণ বাঁচেনি তাঁদের।
সিরিয়াতে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সীমান্ত এলাকায় হাহাকার যেন ঘুরপাক খাচ্ছে আকাশে-বাতাসে। এক প্রলয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এক লহমায় ছারখার করে দিয়েছে সব। রক্তাক্ত, নিস্পন্দ কাঠামোগুলো আজ ধুলোর আচ্ছাদনে ঢাকা। কেউ পলক ফেলছেন, কেউ নিস্পন্দ। কেউ আরও একবার সর্বস্ব খুইয়ে বসে রয়েছেন রাস্তায়। তুরস্কের ছবি যেন আরও ভয়ঙ্কর! লাশের স্তূপ তৈরি হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে আছে অনেকে। তাঁদের মধ্যে হয়তো কেউ কেউ এখনও বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন, কেউ হয়তো প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের ব্লক সভাপতির জামার কলার ধরে হেনস্থা উপপ্রধানের
ভারত, আমেরিকার মতো অনেক দেশই তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। ত্রাণ ও মেডিক্যাল সামগ্রী নিয়ে ভারত থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে গেছে। দুই দেশের বিপদের দিনে উদ্ধারকাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্ডিগোও। বিনামূল্যে ত্রাণ ও মেডিক্যাল সামগ্রী বিমানে করে পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তারা।