বাঁকুড়ার পিঠে পরবের দিনে প্রাকৃতিক দুর্ভোগ

বাঁকুড়ার পিঠে পরবের দিনে প্রাকৃতিক দুর্ভোগ। মকর এসে যাওয়া মানেই বাঁকুড়া পুরুলিয়ার ঘরে ঘরে পিঠেপুলির উৎসব শুরু। পৌষ সংক্রান্তির আগের থেকেই চলে বহু প্রাচীণ প্রচলিত ঢেঁকি করে চালকুটা। সেই চাল থেকে গুড়ি তৈরি হওয়ার পর বিভিন্ন রকম পিঠে তৈরি করেন গ্রামের মহিলারা, যেমন পুলী পিঠে, গেরগেরে পিঠে, আস্কে পিঠে, দূধপুলি পিঠে, বাটিসাপটা শহ বিভিন্ন পদের পিঠে তৈরি করে থাকেন।গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে চলে পৌষ সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত পিঠেপড়ব উৎসব।

 

বিভিন্ন রকম পিঠে চালের গুড়ি থেকে উৎপন্ন করেন যা কলকাতার নামিদামি রেস্তোরাঁ বা হোটেল বা শহরাঞ্চলের বাবুদের ঘরের তোয়রী করা পীঠে বলুন সেই পিঠে সচরাচর চোখে দেখেননি তা আমরা হলপ করে বলতে পারি, কারণ শহর অঞ্চলে তো আর ঢেঁকি নেই সেখানে মেশিনের সাহায্যে উৎপন্ন হয় চালের গুড়ি। আর গ্রাম বাংলার পিঠে তৈরীর কোলা কৌশল একেবারেই অন্যরকম।যে পিঠে তৈরি করার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন গ্রামের মহিলারা, পৌষ সংক্রান্তি পিঠে পড়ব উৎসবের জন্য।

 

গ্রাম বাংলার বিশেষ করে বাঁকুড়া পুরুলিয়া জেলার গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই দেখতে পাওয়া যাবে ঢেঁকি নামক এক বস্তুকে যা পায়ের সাহায্যে গর্তের মধ্যে চাল ফেলে পায়ের সাহায্যে পেশার দিয়ে কুটা হয় চাল। বিশেষ করে পৌষ মাসে ঢেঁকির ঢপ ঢপ শব্দে ঘুম ভাঙ্গে গ্রামের মানুষের। সেই চালের গুঁড়ো কে গ্রামবাংলায় গুরি বলে থাকে। বিশেষ করে পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন বাড়িতে বাড়িতে এ পিঠে পড়া উৎসব চলে। চলে একবার থেকে আরেক বাড়ির নিমন্তন্ন। তারপরই সারা রাত জেগে শুরু হয় টুসু পড়ব।

আরও পড়ুন – মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী

তবে পিছে পরবে বহু মানুষ কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার জয়পুর বনলতায় আসেন কিছু পরবের আনন্দ উপভোগ করার জন্য ও শহরের দূষণ থেকে একটি বারের জন্য মুক্ত হয়ে গ্রাম বাংলার গ্রামের মহিলাদের হাতের তৈরি পিঠে খাবার জন্যে, এক পর্যটন তিনি কলকাতা থেকে বনলতাতে বেড়াতে এসে তিনি গর্ব করে গ্রাম বাংলার মহিলাদের তৈরি পিঠে খেয়ে খুবই আনন্দিত তারা আজ পর্যন্ত এরকম পিঠে করে খেজুর রস দিয়ে খাওয়া হয়নি তাই তারা অত্যন্ত খুশি।