বিরাটকে অসম্মান পাক ক্রিকেটারের!

বিরাটকে অসম্মান পাক ক্রিকেটারের! ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ মানে কি শুধুই ক্রিকেট? না, তা কোনও ভাবেই নয়। ক্রিকেট ছাড়িয়ে তার বিস্তৃতি সর্বত্র। রাজনীতি থেকে বলিউড, শিল্পীমহল, সবাই জড়িয়ে পড়েন এতে। আর যাঁরা মাঠে খেলেন, তাঁদের পরিস্থিতি কেমন থাকে? এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে বছরের পর বছর আলোচনা চলতেই থাকে।

 

 

ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ মানে কি শুধুই ক্রিকেট? না, তা কোনও ভাবেই নয়। ক্রিকেট ছাড়িয়ে তার বিস্তৃতি সর্বত্র। রাজনীতি থেকে বলিউড, শিল্পীমহল, সবাই জড়িয়ে পড়েন এতে। আর যাঁরা মাঠে খেলেন, তাঁদের পরিস্থিতি কেমন থাকে? এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে বছরের পর বছর আলোচনা চলতেই থাকে। কিন্তু কেউ যদি ‘ছোট মুখে বড় কথা’ বলেন? কিংবা যদি বলা হয়, ‘যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা’, ভুল হবে না! পাকিস্তানের এক ক্রিকেটার এমনই কাণ্ড ঘটালেন। সেই পুরনো বিতর্কের জল গড়াল ওয়াঘার এপারেও। বিতর্কের কেন্দ্রে বিরাট কোহলি (Virat Kohli), সন্দেহ নেই। আসলে, পাকিস্তান তাঁদেরই বেছে নেয়, যাঁরা সাকসেসফুল, আইকনিকও। না হলে আর বিতর্কে মজা পাবে কেন পাকিস্তান! বিরাটকে সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে আক্রমণ করলেন পাকিস্তানের কোন ক্রিকেটার?

 

 

ঘটনাটা ঘটেছিল ২০১৫ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে। ঘটনাস্থল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। বিশ্বকাপে, বিশেষ করে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও দিনই জিততে পারেনি পাকিস্তান। আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবার শিঁকে ছিঁড়েছিল পাকিস্তানের। বাবর আজমের টিম ওই একবারই বড় মঞ্চে জিতেছে ভারতের বিরুদ্ধে। যে টিম রেকর্ড বুকের অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে থাকে, তারাই কিনা স্পর্ধার সীমা টপকে যাচ্ছে!

 

 

কে ওই ক্রিকেটার? তাঁর নাম সোহেল খান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৭৬ রানে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। সোহেলকে ম্যাচের একটি বিতর্কিত মুহূর্তে বিরাট বলেছিলেন কী বলেছিলেন? সোহেলের কথায়, ‘বিরাট এসে আমাকে বলেছিল, ক্রিকেটে তো সবে এসেছ, এত কথা বলো কেন।’ বিরাটের কথা শুনেই রাগ হয়ে গিয়েছিল সোহেলের। তিনি পাল্টা বলেছিলেন, ‘তখন আমি টেস্ট ক্রিকেট খেলি। ২০০৬-০৭ সাল থেকে আমি টেস্ট খেলছি। হাঁটুর চোটের কারণে টিম থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম। ওর কথা শুনে বলেছিলাম, বেটা, যখন তুই অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট খেলতিস, তখন থেকে তোর বাবা টেস্ট খেলে।’

 

আরও পড়ুন – থানা থেকে বেরিয়ে তাঁর অভিযোগ! ঘণ্টা তিনেক কাঁথি থানায় ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী।

বাবা অর্থাৎ নিজের কথা বলতে চেয়েছিলেন সোহেল। যিনি নিজেকে ক্রিকেটে বিরাটের ‘বাবা’ দাবি করছেন, তিনি এক ঝুড়ি মিথ্যেও বলেছেন। ২০০৬ সালে নয়, সোহেলের টেস্ট অভিষেক হয় ২০০৯ সালে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে তিন ধরনের ক্রিকেটেই খেলেছেন। তবে কখনওই খুব একটা ভরসার নাম ছিলেন না। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ছাড়া তেমন বড় টুর্নামেন্টে তাঁকে খেলতেও দেখা যায়নি। সেই সোহেল কিনা বিরাটের বিচার করছেন।

(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং Youtube )