লক্ষ্মীর ভান্ডার কি বন্ধ হবে ?’ প্রশ্নের মুখে ‘দিদির দূত’

লক্ষ্মীর ভান্ডার কি বন্ধ হবে ?’ প্রশ্নের মুখে ‘দিদির দূত’

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ। গরু পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রবীন্দ্রনাথকে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কি আর পাওয়া যাবে না? ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে আমজনতার সামনে এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

 

 

বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়াচ্ছে শাসক দলের একাধিক নেতা। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচার মামলায় জেলে রয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ বার তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রবীন্দ্রনাথকে। ‘দিদির দূত’কে সামনে পেয়ে এক প্রৌঢ় জানতে চাইলেন, পার্থ-অনুব্রতেরা জেলে থাকার ফলে কি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মিলবে না?

 

 

শুক্রবার কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কোচবিহার-১ ব্লকের ফলিমারী পঞ্চায়েতের দেওয়ানবাগ এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই সময় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে উপস্থিত এক প্রৌঢ় রবীন্দ্রনাথকে বলেন, ‘‘গ্রামেগঞ্জে আলোচনা হচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই বন্ধ হতে চলেছে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। কারণ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলেরা সব টাকা চুরি করেছেন।’’ এই প্রশ্নের মুখে পড়ে অপ্রস্তুত দেখায় পুরসভার চেয়ারম্যানকে। যদিও বিষয়টিকে স্বাভাবিক করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘যারা চুরি করছে তাদের জেল হচ্ছে, ফাঁসি হচ্ছে। সেই বিষয়টি তাঁরা বুঝবেন। আপনারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না সেটা বড় কথা।’’

 

 

‘দিদির দূত’ কর্মসূচি শেষে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘যে যেমন কাজ করবে তার তেমন শাস্তি হবে। কেউ আইন বিরোধী কাজ করলে তার শাস্তি হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। মানুষ দেখবেন, তাঁরা কী সুযোগসুবিধা পাচ্ছে। মানুষ দেখবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কী কী পরিষেবা দিচ্ছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কোচবিহারের মানুষ দু’বার বেলতলায় গিয়েছেন। আর যাবেন না। গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা এখান থেকে জয়লাভ করেছেন, বর্তমানে তাঁদের দেখা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তাই মানুষ আর ভুল করবে না।’’

 

আরও পড়ুন – বাংলার বড় প্রাপ্তি! কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে রাজ্যে হবে আধুনিক মানের রেল স্টেশন।

 

এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের কটাক্ষ, ‘‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতারা যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। তৃণমূল দুর্নীতিতে ভরা। তাই সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করবেই। আর সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে পালিয়ে আসছেন তৃণমূলে নেতারা।’’