খেলা – রবিবার নবী মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫-এর ফাইনালে নামছে দুই দল। এই প্রথমবার ফাইনালে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা, আর ভারতের জন্য এটি তৃতীয় ফাইনাল। এখন প্রশ্ন একটাই — এবার কি ‘উইমেন ইন ব্লু’-র হাতেই উঠবে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফি?
বিশ্লেষকদের মতে, সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ী দলটিতেই ভরসা রাখতে পারে ভারত। সম্ভাব্য ভারতীয় একাদশের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে ভারসাম্য। ওপেনিংয়ে ফিরছেন শেফালি বর্মা, যিনি চোট থেকে সেরে উঠেছেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন নির্ভরযোগ্য স্মৃতি মান্ধানা, যিনি এ পর্যন্ত ৮ ম্যাচে করেছেন ৩৮৯ রান — ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড।
তৃতীয় স্থানে খেলবেন জেমিমা রদ্রিগেজ, যিনি সেমিফাইনালের নায়িকা। নবী মুম্বইয়ের মাটিতেই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৭৬ ও ১২৭ রানের দুই ইনিংস। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরও দুর্দান্ত ফর্মে, শেষ তিন ইনিংসে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে দলের মনোবল বাড়িয়েছেন।
অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের যৌথ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী (১৭ উইকেট), পাশাপাশি ব্যাট হাতে দুটি হাফ সেঞ্চুরি। তাঁর সঙ্গী ঋচা ঘোষ উইকেটকিপার হিসেবে যেমন নির্ভরযোগ্য, তেমনি ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই এক লিগ ম্যাচে করেছিলেন ৯৪ রানের ইনিংস।
মিডল অর্ডারে অমঞ্জোত কৌর দলের ভারসাম্য বজায় রাখছেন ৬ উইকেট ও ১৩৪ রানের পারফরম্যান্সে। স্পিন বিভাগে আছেন রাধা যাদব ও তরুণ শ্রী চরনী — পরেরজনের ঝুলিতে ৮ ম্যাচে ১৩ উইকেট। পেস আক্রমণে থাকছেন ক্রান্তি গৌড় ও রেণুকা সিং ঠাকুর। ক্রান্তি ৭ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন, রেণুকা যদিও এখনও নিজেকে মেলে ধরার অপেক্ষায়।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ফাইনালে ইতিহাস গড়তে মরিয়া। তাঁদের ব্যাটিং শক্তি লাউরা উলফার্ট ও সুনে লুস-এর হাতে, আর বোলিং আক্রমণে রয়েছেন মারিজানে ক্যাপ ও আয়াবঙ্গা খাকা।
সব মিলিয়ে নবী মুম্বইয়ের মাঠে রবিবার দেখা যেতে পারে এক উত্তেজনাপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ফাইনাল, যেখানে প্রতিটি বলেই দুলবে ট্রফির পাল্লা।




















